বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
অজু ব্যতীত কুরআনকে স্পর্শ করা যায় না,তবে বিনা অজুতে কুরআনকে স্পর্শ করা ব্যতীত
পড়া যাবে।
চার মাযহাবের সিদ্বান্ত মতে বিনা অজুতে কোরআন
শরীফকে স্পর্শ করা যাবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ
রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র
হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”। {মুয়াত্তা
মালিক, হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস
নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস
নং-২০৯, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস
নং-১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর, হাদীস
নং-১১৬২, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস
নং-৪৬৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬}
عن عبد الله بن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:”لا يمس القرآن إلا طاهر“.
رواه الطبراني في الكبير والصغير ورجاله موثقون.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল
সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। {মাযমাউজ
যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৫১২}
قال ابن عبد البر في الاستذكار (8/10): ((أجمع فقهاء الأمصار الذين تدور عليهم الفتوى وعلى أصحابهم بأن المصحف لا يمسه إلا طاهر
আল্লামা ইবনে আব্দিল বার রহঃ বলেনঃ সমগ্র
পৃথিবীর সকল ফক্বীহগণ ও তাদের অনুসারীগণ একমত এবং এর উপরই সকলে ফাতওয়া প্রদান করে
থাকেন যে, কুরআনে কারীম পবিত্র হওয়া ছাড়া স্পর্শ করা
জায়েজ নেই। {আল ইসতিজকার-১০/৮}
কুরআন তেলাওয়াতের সময় যথাসম্ভব আদবসহ বসা।
বসা, দাঁড়ানো, চলমান ও হেলান দেয়া–সর্বাবস্থায় তিলাওয়াত
করার অনুমতি রয়েছে। কারণ আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘যারা আল্লাহকে স্মরণ করে দাঁড়িয়ে, বসে ও কাত হয়ে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি
সম্পর্কে চিন্তা করে’। (ইমরান–৩ আয়াত :১৯১)
তবে উদাহরণ স্বরূপ বিনয়ের সঙ্গে বসে পড়া
হেলান দিয়ে পড়ার চেয়ে উত্তম। জায়েযের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কোনোটাতেই সমস্যা নেই।
কিন্তু উত্তমের কথা বিবেচনা করলে বিনয় ও নম্রতার সঙ্গে বসে পড়াই শ্রেয়।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
১. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আল কুরআনের ভাবানুবাদ ওযু
ছাড়া স্পর্শ করা ও পড়া যাবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে আয়াতের উপর হাত না লেগে যায়।
২. আল কুরআন পড়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে আদব উল্লেখ নেই।
তবে এমন ভাবে বসে বা অন্য ভাবে পড়া যাবে না, যাতে বেআদবী প্রকাশ পায়। সুতরাং সরাসরি
টেবিলের উপর রেখে, বসে থেকে হাতে রেখে, বসা অবস্থায় উরুর উপর বালিশ
রেখে তার উপর আল-কুরআন পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। আর বসাটা ব্যক্তি হিসেবে তার সুবিধা
অনুযায়ী হবে। (আসন গেড়েও বসা যাবে, আবার দুই হাটু বিছিয়েও হতে পারে, আবার এক হাটু বিছিয়েও হতে পারে) তবে বিশেষ কোন ওজর না থাকলে হেলান অবস্থায়
কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত না করা।