আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
শায়েখ, যেমনটা আমি আগে বলেছিলাম আমার চাচারা মুদারাবা খান অর্থাৎ ইসলামী ব্যাংক থেকে যে লভাংশ আসে শরিয়াভিত্তিক ভাবে সেটা খান। আপনারা বলেছেন যে, ওই লভাংশ থেকে আমাকে কিছু দিলে আমার জন্য সেটা নেওয়া নাজায়েজ হবে।
আলহামদুলিল্লাহ, আমি তা গ্রহণ করেছি। কিন্তু এখন অনেকটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমি আমার চাচার বাসায় না যাওয়ার জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে। এখন আমার প্রশ্ন আমি যদি লভাংশ না খাই এবং এতে ফিতনা সৃষ্টি হয় চাচা কোন ভাবে জানতে পারেন। শুনে কষ্ট পান তাহলে আমার কি গুনাহ হবে? আমার বাবা এই কথা বলছেন যে, চাচাকে কষ্ট না দিতে খেয়ে নিতে। আমার বাবা একজন আলিম। এখন আমি যদি ওনার কথা না শুনি উনি কষ্ট পান তাহলে আমার গুনাহ হবে?
শায়েখ আমি খুবই চিন্তিত এই বিষয়ে। আমার কি করা উচিত? আমি আবার এটাও চাই যে কোন ভাবে যেন আমি আল্লাহকে কষ্ট না দিতে। আর আমি তো ত্বলীবুল ইলম আমাকে তো সব বিষয়ে তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে।  সমাধান চাই..জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

[শায়েখ, আমি জানতে পেরেছি যে আমার চাচার যখন বলছিলেন তিনি মুদারাবা খান। তখন এটা বলেছেন তিনি যা লভাংশ পান তা দিয়ে বাসার কাজ করান। এটা বলেন নাই যে উনি খাবারও বা অন্য জিনিস এই লভাংশ থেকে কিনেন।]  আমি আমার ভাই কেউই ওই সময় উপস্থিত ছিলাম না যে সময় তিনি লভাংশের কথা বলেন। আমার ভাই আমাদের চাচাত ভাইয়ের কাছ থেকেই জানতে পেরেছে। মনে হচ্ছিল এই বিষয়টা আপনাদের জানানো উচিত।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাবের প্রস্তুতি চলছে। ইনশাআল্লাহ জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে বসার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ। 


প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...