বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার শর্ত হল,উযর ধারাবাহিক ভাবে কোনো এক নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত স্থায়ী হওয়া।এ সম্পর্কে জানুন-
1746
যেহেতু আপনি মা'যুর নন।অন্যদিকে কা'যা নামাযের সময়ে ব্যাপকতা রয়েছে।তাই বায়ু বের হওয়া কমে আসা পর্যন্ত আপনি অপেক্ষা করবেন।যখন বায়ু নির্গত হওয়া কমে আসবে,তখন আপনি কা'যা নামায পড়ে নিবেন।
আর যদি আপনি ওয়াক্তিয়া নামাযে এমন পরিস্থিতির স্বীকার কখনো হন,তাহলে চেয়ারে বসে বেশ নড়াচড়া না করে কোনো রকম নামায পড়ে নিবেন।তারপরও যদি অজু চলে যায়,তাহলে অজু করে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন।যদি কোনো রকম সম্ভব না হয়,তাহলে জামাতকে ত্যাগ করে এমন সময় পড়ে নিবেন,যখন বায়ু নির্গত হওয়া কমে যাবে।
(২)
সুন্নতের কোনো কা'যা নেই।তবেফজরের সুন্নত বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সুন্নতে না পড়লে সূর্যোদয়ের পর দু রা'কাত নফল নামায পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من لم يصل ركعتي الفجر فليصلهما بعد ما تطلع الشمس
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ফজরের সুন্নত পড়তে পারবে না,সে যেন সূর্যোদয়ের পর দু রা'কাত সুন্নত পড়ে নেয়।(সুনানু তিরমিযি-৪২৩)(কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৪৭)
(৩)
যেহেতু সূর্য উঠে গেছে,তাই ফজরের কা'যা পড়ার সাথে সাথেই ইশরাকের নামাযও পড়তে পারবেন।ইশরাকের ওয়াক্ত সম্পর্কে জানুন-
1929