ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা-৪৩)
https://www.ifatwa.info/938 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করততে পারবেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু পানি ব্যবহার করতে ডাক্তার আপনাকে নিষেধ করেছে,তাই আপনি ফরয গোসলের ক্ষেত্রে তায়াম্মুম করে নিতে পারবেন।উক্ত তায়াম্মুম দ্বারা আপনি নামায ইবাদত সবকিছুই করতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রস্রাব পায়খানা প্রয়োজন হলে তখন শুধুমাত্র অজু বা তায়াম্মুম করে নিলেই হবে।আর গোসলের প্রয়োজন নাই।হ্যা, আবার গোসলের প্রয়োজন হলে তথা গোসল ফরয হলে তখন সম্ভব হলে গোসল করে নিতে হবে।
(২)
প্রশ্নের বিবরণমতে নামায বিশুদ্ধ হবে।
আল-জাওহারাতুন নায়্যিরাহ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اذا أراد أن يؤمي للركوع أومأ قائما،و يؤمي للسجود قائدا ،والأفضل هو الإيماء قاعدا في الكل
যখন অক্ষম ব্যক্তি ইশারায় রুকুর করার ইচ্ছা পোষণ করবে, তখন যেন সে দাড়িয়ে ইশারা করে।এবং যখন সে ইশারায় সেজদা করার ইচ্ছা পোষণ করবে, তখন যেন সে বসে ইশারা করে।তবে সর্বাবস্থায় বসেই ইশারা করা উত্তম। (আল-জওহাতুন নায়্যিরাহ;১/১১৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10313