আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
303 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

১. কোন নারীর অপারেশন হাওয়ার পর ডাক্তার বলেছেন কাটা স্থানে পানি লাগানো যাবে না৷ সেক্ষেত্রে ফরজ গোসল কিভাবে করবেন উনি?

২. উক্ত নারী কিয়াম করতে পারবেন, রুকু করতে কিছুটা কষ্ট হলেও পারবেন, সিজদাহতে মাটিতে বসতে পারবে, কিন্তু সিজদাহ দেয়ার সময় যদি উনি পুরোপুরি মাটিতে সিজদাহ দিতে না পারেন, আংশিক হেলে সিজদাহ দিয়ে আবার সোজা হয়ে বসে পুনরায় আংশিক হেলে ২য় সিজদাহ দিলে সালাত সহীহ হবে? এমতাবস্থায় উনি কিভাবে সালাত আদায় করলে সর্বোত্তম হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا
যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।(সূরা নিসা-৪৩)

https://www.ifatwa.info/938 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করততে পারবেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু পানি ব্যবহার করতে ডাক্তার আপনাকে নিষেধ করেছে,তাই আপনি ফরয গোসলের ক্ষেত্রে তায়াম্মুম করে নিতে পারবেন।উক্ত তায়াম্মুম দ্বারা আপনি নামায ইবাদত সবকিছুই করতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রস্রাব পায়খানা প্রয়োজন হলে তখন শুধুমাত্র অজু বা তায়াম্মুম করে নিলেই হবে।আর গোসলের প্রয়োজন নাই।হ্যা, আবার গোসলের প্রয়োজন হলে তথা গোসল ফরয হলে তখন সম্ভব হলে গোসল করে নিতে হবে।

(২)
প্রশ্নের বিবরণমতে নামায বিশুদ্ধ হবে।
আল-জাওহারাতুন নায়্যিরাহ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اذا أراد أن يؤمي للركوع أومأ قائما،و يؤمي للسجود قائدا ،والأفضل هو الإيماء قاعدا في الكل
যখন অক্ষম ব্যক্তি ইশারায় রুকুর করার ইচ্ছা পোষণ করবে, তখন যেন সে দাড়িয়ে ইশারা করে।এবং যখন সে ইশারায় সেজদা করার ইচ্ছা পোষণ করবে, তখন যেন সে বসে ইশারা করে।তবে সর্বাবস্থায় বসেই ইশারা করা উত্তম। (আল-জওহাতুন নায়্যিরাহ;১/১১৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10313


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 178 views
...