ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/118 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নাজাসতকে ১০টি পদ্ধতিতে পবিত্র করা যায় যথা-
(১)ধৌত করা,যেমন কাপড় ইত্যাদি।
(২)মোছা, যেমন আয়না,তলোয়ার ইত্যাদি।
(৩)টুকা দিয়ে নাজাসত দূর করা,যেমন গাড় বীর্য কে টুকা দিয়ে কাপড় থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা,ইত্যাদি।
(৪)ঘর্ষণ, মর্দন, যেমন শরীর বিশিষ্ট নাজাসত যাকে ঘর্ষণ-মর্দন করে দূর করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।
(৫)শুকিয়ে নাজাসতের আসর দূর হয়ে যাওয়া,যেমন জমিন,গাছ ইত্যাদি শুকিয়ে পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।
(৬)জ্বালানো, যেমন গোবর ইত্যাদি জ্বলে ভস্ম হয়ে ছাই হয়, যা পবিত্র।ইত্যাদি।
(৭)এক অবস্থা থেকে ভিন্নরূপ ধারণ করে পবিত্র হওয়া।যেমনঃ মদ থেকে সিরকায় পরিণত হওয়া যা কিনা পবিত্র।ইত্যাদি।
(৮)দেবাগত,যেমন মানুষ এবং খিনযির ব্যতীত সকল প্রকার প্রাণীর চামড়া কে লবন মাখিয়ে রৌদ্রে রাখলে তা পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।
(৯)যবেহ, প্রাণীকে যবেহ করার মাধ্যমে উক্ত প্রাণীর চামড়া পবিত্র হয়ে যায়।যদি এমন প্রাণীও হয় যার গোস্ত ভক্ষণ করা হারাম,তবে তার চামড়াকে পবিত্র করে দেয়,ইত্যাদি।
(১০)নরখ,তথা যদি কোনো কোঁপে নাজসত পড়ে যায় তাহলে উক্ত কোঁপের মুনাসিব পরিমাণ পানি বাহিরে নিক্ষেপ করলেই উক্ত কোপ পবিত্র হয়ে যায়।ইত্যাদি।
এই মোট দশ ভাবে কোনো অপবিত্র জিনিষকে পবিত্র করা যায়।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যে ফ্লোরে চুষে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, সেই ফ্লোর তরল নাজাসতকে যেকোনোভাবে উক্ত তরল নাজাসতকে চুষে নিলে এবং ঐ ফ্লোর শুকিয়ে গেলে, তখন ফ্লোরটি পাক বলেই গণ্য হবে।
তবে যেই ফ্লোরে চুষে নেওয়ার ক্ষমতা নেই, সেই ফ্লোর তরল নাজাসত সহ শুকিয়ে গেলে পবিত্র হবে না।যেই ফ্লোর সম্পর্কে সন্দেহ রয়েছে যে, তাতে কি চুষে নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে কি না? সেই ফ্লোরকে সতর্কতামূলক অপবিত্র বলাই শ্রেয়।
পুরুষাঙ্গের ভিতরের অংশ যা সাধারণত বাহির থেকে দেখা যায় না,সেই অংশ লজ্জাস্থান ধোয়ার সাথে পাক হয়ে যাবে।