আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in পবিত্রতা (Purity) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

১)আমার পরিবারের একজনের পায়ের তালু কেটে যায় ফলে সেখান থেকে রক্ত বের হয়ে তালুতে অনেকখানিই জায়গায় লেগে যায়।এরপর কেবল হেক্সিসোল আর টিস্যু দিয়ে পায়ের সে অংশটা এমনভাবে মোছা হয় যে কোনো রক্তের দাগ ছিলোনা। তো এরপর সেই পা নিয়ে বাথরুমের ভেজা ফ্লোরে পা রাখে এবং বের হয়ে সেই পা বাথরুমের বাইরের পাপোসে মুছে । এতে কি পাপোসে নাজাসাত পৌঁছেছে? পাপোস টা কি নাপাক হয়ে গেছে?উল্লেখ্য যে পাপোস টা ছাই রংয়ের তাই রক্তের দাগ লাগলে তা দেখা যাওয়ার কথা কিন্তু পাপোসে রক্তের কোনো দাগ পাইনি।

২)কোনো প্লাস্টিকের কভারে যদি ইঁদুর বা টিকটিকির পায়খানা লেগে তা শুকায় যায় তাহলে কি সেই পায়খানা সরালেই জায়গাটি পাক হয়ে যায় নাকি পায়খানা সরানোর পর মুছে দিতে হবে?

৩)কোনো কাপড়ে যদি কোনো দৃশ্যমান নাজাসাত লেগে শুকিয়ে যায় তাহলে নাজাসাত  টা কি উঠিয়ে ফেললেই হবে নাকি ধুতে হবে?

৪)কাপড়ে যদি ইঁদুর বা টিকটিকি পায়খানা করে দেয় কিন্তু নাজাসাত টি যদি এতটুকু ভেজা হয় যে কাপড়ের ঐ অংশ আদ্র হয়নি,তাহলে কি কাপড়টি নাপাক হবে?

৫)বাশের তৈরি আসবাবে যদি ইদুর পায়খানা করে তাহলে কি সেই সামান্য আদ্র পায়খানা কেবল ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে ফেললে হবে নাকি তা ধুতে হবে?

৬)ট্যাপ থেকে যদি অনবরত পানি পড়ে টাইলস ফ্লোর দিয়ে গড়িয়ে যায় তাহলে কি তা প্রবাহিত পানির ন্যায় হবে? আর যদি তা প্রবাহিত পানির ন্যায় হয় তাহলে কি ট্যাপের নিচে যদি নাপাক মপ ধুই তাহলে কি নিংড়ানো আবশ্যক?কেবল কিছুক্ষণ ট্যাপের নিচে মপটি ধরে থাকলে পাক হবে নাকি চিপড়ানো আবশ্যক?

1 Answer

0 votes
by (697,760 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/19995 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।যথা-
(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র।
(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি।
(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে।

(প্রথম প্রকারের হুকুম) প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে।
(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)  দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত।
(তৃতীয় প্রকারের হুকুম) যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নেয়নি, তাহলে বাহ্যিকভাবে নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকাতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) যেহেতু পাপোশে রক্তের কোনো দাগ মিলেনি, কাজেই বুঝা গেল, পাপোশে নাপাক হয়নি।

(২)
পায়খানা সরিয়ে নিলে যদি প্লাস্টিকের উক্ত জিনিষে পায়খানার কোনো আছর পাওয়া না যায়, তাহলে উক্ত প্লাস্টিকের জিনিষ নাপাক হবে না।বরং পবিত্রই থাকবে।এবং পবিত্র থাকার জন্য উক্ত প্লাস্টিকের জিনিষকে ধৌত করতে হবে না।

(৩)
নাজাসতকে উঠিয়ে ফেললেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।

(৪)
যদি কাপড়ে আদ্রতার কোনো ছাপ পাওয়া না যায়, তাহলে কাপড় নাপাক হবে না।

(৫)
বাশের তৈরি আসবাবে যদি ইদুর পায়খানা করে,এবং বাসে আদ্রতার চিহ্ন না থাকে, বরং শুকিয়ে গিয়ে চিহ্ন দূর হয়ে যায়, তাহলে বাস পবিত্র হিসেবে গণ্য হবে।তবে পরবর্তীতে আবার পানি পড়লে বাস নাপাক হিসেবেই পরিগণিত হবে।কেননা বাসে চোষণ ক্ষমতা নেই।

(৬)
ট্যাপ দীর্ঘক্ষণ চালু থাকলে,তা প্রবাহিত পানির হুকমেই চলে আসবে।সুতরাং ট্যাপের নীচে মপ ইত্যাদিকে দীর্ঘক্ষণ রাখলে আর নিংড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...