بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/10666 নং
ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,
মাসআলা জানার পূর্বের এ সংক্রান্ত একটি
মূলনীতি আমাদের মনে রাখতে হবে।
أَلْفَاظُ
الشَّرْطِ إنْ وَإِذَا وَإِذْمَا وَكُلُّ وَكُلَّمَا وَمَتَى وَمَتَى مَا فَفِي
هَذِهِ الْأَلْفَاظِ إذَا وُجِدَ الشَّرْطُ انْحَلَّتْ الْيَمِينُ وَانْتَهَتْ
لِأَنَّهَا تَقْتَضِي الْعُمُومَ وَالتَّكْرَارَ فَبِوُجُودِ الْفِعْلِ مَرَّةً
تَمَّ الشَّرْطُ وَانْحَلَّتْ الْيَمِينُ فَلَا يَتَحَقَّقُ الْحِنْثُ بَعْدَهُ
إلَّا فِي كُلَّمَا لِأَنَّهَا تُوجِبُ عُمُومَ الْأَفْعَالِ فَإِذَا كَانَ
الْجَزَاءُ الطَّلَاقَ وَالشَّرْطُ بِكَلِمَةِ كُلَّمَا يَتَكَرَّرُ الطَّلَاقُ
بِتَكْرَارِ الْحِنْثِ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ طَلَاقَ الْمِلْكِ الَّذِي حَلَفَ
عَلَيْهِ فَإِنْ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ زَوْجٍ آخَرَ وَتَكَرَّرَ الشَّرْطُ لَمْ
يَحْنَثْ عِنْدَنَا كَذَا فِي الْكَافِي.
ভাবার্থঃ
শর্তের মাধ্যমে তালাক প্রদাণের জন্য
নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যথা-
(১)إنْ-যদি
(২)َإِذَا-যখন
(৩)َإِذْمَا-যখন
(৪)َكُلُّ-সব
(৫)َكُلَّمَا-যখনই
(৬)مَتَى-যখন
(৭)مَتَى مَا-যখন
বাক্যর প্রারম্ভে এ সকল শব্দ প্রয়োগ
করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া যাবে,তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট হয়ে
যাবে।পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না।তবে শুধুমাত্র ৫ নং বাক্য
এর বিপরিত।এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে থাকবে।যতক্ষণ
না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে।শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত স্বামী উক্ত স্ত্রীকে
বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
১.কাউকে কোন কিছু বুঝানোর জন্য উপরোক্ত
বাক্য বলার দ্বার কোন তালাক পতিত হয় না। তবে কেউ যদি মুআল্লাক তালাক দেওয়ার উদ্দেশ্যেই
কাগজে অথবা কোথাও লেখে "আমি যাকে বিয়ে
করবো..সে তালাক, কিন্তু মুখে উচ্চারণ করেনি। এতেও মুআল্লাক তালাক হবে।
২. যদি আপনি তালাক শব্দটি মুখে উচ্চারণ
না করেন এবং কাগজেও না লেখেন তাহলে তালাক পতিত হবে না।
তবে কেউ যদি বলেন বা লেখেন যে, "আমি
যাকে বিয়ে করবো সেই তালাক" তাহলে এতে মুআল্লাক তালাক সাব্যস্ত হয়ে যাবে।