আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
346 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার প্রশ্ন হলো বাসায় তো আর নারীরা বোরখা পরে না। সেই সময় যদি নন মাহরাম আত্নীয় বা কাছের কোন জানাশোনা মানুষ আসেন তাহলে কি নারীরা লম্বা ঘোমটা দিয়ে প্রয়োজনে কথা বলতে পারবেন? আমি মিশরীর একজন স্কলার এর programme এ দেখিছি যে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম নারীদের সেলোয়ার-কামিজ পরিধান অবস্থায় নন মাহরাম ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা সমর্থন করেন না। এটা কতটুকু  যৌক্তিক। বাসায় তো আর বোরখা পড়ে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব না। আমাদের দেশে তো ঢিলেঢালা সেলোয়ার-কামিজ পড়তেই মুসলিম নারীদের বেশি বলা হয়ে থাকে। বলা হয় যে এটাই ভদ্র পোশাক।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/20132/?show=20132#q20132 নং ফতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, পোশাক আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত।

কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-

يا بني آدم قد انزلنا عليكم لباسا يوارى سوآتكم وريشا ولباس التقوى ذلك خير ذلك من آيت الله لعلهم يذكرون.

হে আদমের সন্তান সন্ততি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দুষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্য্যেরও উপকরণ। বস'ত তাকওয়ার যে পোষাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম। যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।(সূরা আরাফ : ২৬)

পোশাক নিয়ে শরীয়তের কিছু নীতিমালা রয়েছে,যাহা মুসলমানদেরকে মেনে চলতে হবে।

তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ   নারী-পুরুষ একে অন্যের সাদৃশ্য গ্রহণ নিষিদ্ধ।

এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে অত্যন্ত কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশধারণকারী পুরুষের উপর আর পুরুষের বেশধারণকারিনী নারীর উপর লানত করেছেন।(বুখারী, হাদীস :  ৩৮৮৫)

বেশ ধারণ করার অন্যতম মাধ্যম হল পোষাক। অতএব নারীর জন্য পুরুষের পোষাক পরিধান করা আর পুরুষের জন্য নারীর পোষাক পরিধান করা হারাম ও কবীরা গুনাহ।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, নারীর পোষাক পরিধানকারী পুরুষকে এবং পুরুষের পোষাক পরিধানকারী নারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন।(আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৯২)

পোশাক সংক্রান্ত ইসলামের নীতিমালা বিস্তারিত  জানুনঃ https://ifatwa.info/4492/

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!

সাধারণত গয়রে মাহরামের সাথে কথা বলা জায়েয নেই। তবে উপরে উল্লেখিত নীতিমালা অনুযায়ী পোশাক পরিধাণ করাবস্থায় ফেতনার আশংকা না থাকলে বিশেষ জরুরতের খাতিরে কথা বলার অনুমতি আছে। বর্তমান যুগের মেয়েরা যেভাবে টাইট ফিট জামা পরিধান করে এর দ্বারা নন মাহরামের সামনে পর্দা রক্ষা হয় না। বিধায় শরয়ী পোশাকের ক্ষেত্রে অবশ্যয় উপরের লিংকে দেওয়া নীতিমালাগুলি ফলো করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...