আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম।
আমি একজন চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টিং (সিএ) স্টুডেন্ট।  এই রিলেটেড আমার বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে৷
১। অডিটের কাজে আমাদের বিভিন্ন কোম্পানিতে ঘুরে বেড়াতে হয়। এর মধ্যে NGO ও আছে৷  যতদিন থাকি ততদিন সকাল বিকালের খাবার কোম্পানির অর্থায়নেই হয়।  আমার প্রশ্ন হলো NGO এর অর্থায়নে খাবারটা আমার জন্য কি জায়েজ হবে??
২। আমরা মাঝে মধ্যে conveyance (ভাড়া) বাবদ অল্প কিছু টাকা পাই আমাদের কোম্পানি থেকে।  কখনো সেটা আসল খরচ থেকে বেশি হয়,  কখনো কম হয়। যখন বেশি হয় তখন অতিরিক্ত টাকাটার ব্যপারে বিধান কি??
এক ক্লাইন্টের বেশিটা অন্য ক্লাইন্টের কমের সাথে এডজাস্ট করতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/28073/?show=28073#q28073 নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

এনজিও সাধারণত  সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হয়। সুতরাং  সম্পূর্ণ কাজটাই যদি তাদের সুদভিত্তিক হয়, তাহলে এখানে চাকরী করা, উপার্জন করা হারাম হবে। 

সুদকে আল্লাহ তায়ালা হারাম করেছেন। ইসলামে এটি একটি নিষিদ্ধ বিষয়। যদি এ সুদের লেনদেনে কোন ব্যক্তি অংশীদার হয়, তাহলে তার এ উপার্জন হারাম হবে এবং সে গুনাহগার হবে। যেহেতু সে সুদের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে

 

আল্লাহ তায়ালা বলেন 

يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون 

 হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

 

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."

حكم الحديث: صحيح

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)

 

এনজিওতে  যেই পদে চাকরি করে, এর বেতনটি যদি হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ নয়, চাকরী করাও জায়েজ নয় । তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে বেতন নেয়া জায়েজ হবে, চাকরি করাও জায়েজ আছে।

,

তবে সতর্কতামূলক মুসলমানদের জন্য এহেন কোম্পানিতে চাকরী না করা উচিত।      

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/4228/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

১. NGO এর প্রায় সব অর্থই হারাম ভাবে উপার্জিত। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এর অর্থায়নে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। তবে যদি নিশ্চিত ভাবে জানা যায় যে, তারা তাদের হালাল ভাবে উপার্জিত অর্থ থেকে দিচ্ছে। তাহলে এই ক্ষেত্রে খাবার খেতে কোন সমস্যা নেই।

২. কোম্পানির পক্ষ থেকে যদি ভাড়া বাবদ আপনার যা খরচ হয়েছে সেটাই পরিপূর্ণ দেওয়া উদ্দেশ্য হয় তাহলে আপনার জন্য প্রতিটি সফরের ভাড়া বাবদ খরচের অতিরিক্ত নেওয়া জায়েজ হবে না। আর যদি কখনো ভাড়া বাবদ যা খরচ হয়েছে তার থেকে কম হয় তাহলে তা কোম্পানি থেকে চেয়ে নেওয়াও জায়েজ হবে।

আর যদি বিষয়টা এমন না হয় বরং কোম্পানির পক্ষ থেকে ভাড়া বাবদ নির্দিষ্ট অর্থ দেয়  এবং সাথে সাথে কোম্পানির পক্ষ হতে এই অনুমতি আছে যে,  খরচের অতিরিক্তটা তারা আর নিবে না। তখন খরচের অতিরিক্ত টাকাটা আপনি নিজে নিতে পারবেন।

আর যদি বিষয়টি এমন হয় যে, সব সফরের খরচটা একই কোম্পানী অর্থাৎ আপনার নিজস্ব কোম্পানী দিয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি এক ক্লাইন্টের বেশিটা অন্য ক্লাইন্টের কমের সাথে এডজাস্ট করতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...