বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
তাহিয়্যাতুল মাসজিদ মসজিদ প্রবেশ করার পর বসার পূর্বেই পড়তে হয়।
এটি মুস্তাহাব।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ.
আবূ কাতাদাহ্ সালামী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে নেয়। (বুখারী শরীফ,৪৪৪,১১৬৩; মুসলিম ৬/১০, হাঃ ৭১৪, আহমাদ ১৫৭৮৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩১)
মসজিদে প্রবেশ করে সুন্নাতে মুআক্কাদাহ পড়তে হলে ঐ নামায আর পড়তে হয় না। কারণ, তখন এই সুন্নতই ওর স্থলাভিষিক্ত ও যথেষ্ট হয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৫/৬৭, লিকাউবাবিল মাফতূহ্, ইবনে উসাইমীন ৫৩/৬৯)
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
তাহিয়্যাতুল মাসজিদ মসজিদ প্রবেশ করার পর বসার পূর্বেই পড়তে হয়।
এটি মুস্তাহাব,পড়লে ছওয়াব,না পড়লে কোনো গুনাহ নেই।
শুধুমাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথেই এটি সীমাবদ্ধ নয়।
এটির সম্পৃক্ততা হলো মসজিদে প্রবেশের সাথে।
ব্যাক্তি যত বার মসজিদে প্রবেশ করবে, ততবার বসার পূর্বেই উক্ত নামাজ আদায় করতে পারবে।
তবে এতে কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।
(০২)
এক্ষেত্রে ৫ বারই তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজ আপনি আদায় করতে পারবেন।
এক বার আদায় করলে শুধু সেই একবার প্রবেশের সালাত হবে,অন্য সময় যে আবারো প্রবেশ করলেন,সেগুলোর টা আদায় হবেনা।
,
তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়, যে আদায় করতেই হবে।
এমন কোনো আবশ্যকীয়তা নেই
(০৩)
যেহেতু এক্ষেত্রে স্কীনে হাতের স্পর্শ হচ্ছেনা,তাই অযু ছাড়া এভাবে পড়া যাবে।
নাজায়েজ নয়। তবে আদবের খেলাফ।
(০৪)
সেটি হারাম টাকায় ক্রয়কৃত খাবার।
তাই তাহা আপনার জন্যেও খাওয়া জায়েজ হবেনা।
(০৫)
হ্যাঁ হবে।
(০৬)
এক্ষেত্রে আপনি ইনকামের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
আর তাদের থেকে এই হারাম টাকা থেকে যেই পরিমান খাবার খাবেন,সেই পরিমান টাকা পরবর্তীতে টাকা উপার্জনের পর ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
,
আর ঘুষের টাকা ব্যাতিত বৈত ইনকামের টাকা থেকে খাওয়া,খরচ নেওয়া এগুলো তো জায়েজ।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
(৭.৮)
এটি জায়েজ নেই।
,
প্রয়োজন হলেও জায়েজ নেই।
সেটির উপর আর আপনার মালিকান নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দান করার পর যে তা ফিরিয়ে নেয়, সে ঐ লোকের মত, যে বমি করে তা আবার খায়।” (সহীহ বুখারীঃ ২৬২১)
ইমাম মুসলিম সহীহ মুসলিমে হেবা অধ্যায়ে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এভাবে:
تحريم الرجوع في الصدقة والهبة بعد القبض
“দান-সদকা ও হেবা হস্তান্তরের পরে ফিরিয়ে নেয়া হারাম।”
জন্মদাতা পিতা তার সন্তানকে কোন সম্পত্তি হেবা করে থাকলে ইচ্ছে করলে ফিরিয়ে নিতে পারে।
যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
لا يحل لمسلم أن يعطي العطية ثم يرجع فيها، إلا الوالد فيما يعطي ولده
“কোন মুসলিম কোন দান করার পর ফিরিয়ে নেয়া বৈধ নয়। তবে পিতা তার সন্তানের নিকট থেকে ফিরিয়ে নিতে পারে।” (মুসনাদে আহমদ, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত। হাদীস নং ৫৪৬৯, তিরমিযী হা/২১৩২)
(০৯)
জী,উক্ত ব্যাখ্যা সহীহ।
,
(১০)
তার পিছনে সালাত আদায় করলে সালাত আদায় হয়ে যাবে।
তবে বিদয়াতি ইমামের পিছনে নামাজ যেহেতু মাকরুহ।
সুতরাং সেও বিদয়াতি হলে তার পিছনেও নামাজ আদায় মাকরুহ হবে।
আরো জানুনঃ