আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
226 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
শাইখ,
১| আমি যদি জামাআত সহকারে নামায পড়ি তাহলে কয় বার মসজিদের সম্মানে নামায পড়তে হব?
২|মানে ৫বার পড়লে ৫বারই কি ২রাকাত মসজিদের সম্মানে নামায পড়ে হবে নাকি ১বার করলে চলবে?
৩|কেই যদি laptop এর মাউস দিয়ে কুরআন শরীফ laptop এ পড়ে তবে কি তার ওযু লাগবে? এ নিয়ে মতাতমত কি দারুল ইফতার?
৪| কেউ যদি কোন পরিবারকে ঘুস দিলে আর সেই টাকা দিয়ে যদি পরিবারটি কোন হালাল জিনিস কিনে তবে কি সেটা আমি খেতে পারবো?
৫|আমি জানি যে টাকাটা হারাম তবে খাবারটি হালাল,পরে হালাল খাবার এর পরিমাণ অনুসারে টাকা যদি তাদেরকে দিয়ে দিলে হবে?
৬|এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?যেহেতু আমি তাদের কাছে বাস করি এবং তাদের খাবার খাই।
আমার সামর্থ্য নেই যে নিজে ইনকাম করি।
৭|কেউ কোন মিসকিন বা এতিম বা ফকিরকে কিছু দান করার সেটা আবার নিয়ে নেয়া কি হালাল?
৮|যদি তার সে জিনিসটা বেশী প্রয়োজন পড়ে!
৯|কেই যদি সপ্নে দেখলো যে তার পরিচিত এক মহিলার বুকের দুধ ফুলে বড় বড় হয়েগেছে,এটা দেখে সে সেখান হতে চোখ ফিরিয়ে নিলো।এটা তাবীর কি হবে।
তাবিরুর রুইয়ায় আছে যে এতে উক্ত মহিলার কন্যা দারা ব্যাখ্যা হবে।
আমি জানতে চাই এখন এর ব্যাখা কি হতে পারে?
বিঃদ্রঃ মহিলাটির ২ মেয়ে আছে।

১০|একজন ইমাম যিনির আক্বীদায় কিছু সমস্যায় আছে বলে মনে হয়,যেমন তিনি শাইখ আবদুল কাদীর জিলানীকে (গাউসুল আযম বলে)অতচ এটা তো আল্লাহর জন্য খাস,আবার শাইখ ইমাম আবু হানিফাকে (ইমামে আযম বলে)অথচ এটা তো আমাদের নবীর জন্য কারণ তিনিই তো সকল বনী আদমে এবং নবী রাসূলদের ইমাম।

এখন উক্ত লোকটির পিছনে সলাত আদায় করলে হবে কিনা?
বিদ্র লোকটি কিছু বিদআতের সাথে জড়িত আছেন।

এখন আমি কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তাহিয়্যাতুল মাসজিদ মসজিদ প্রবেশ করার পর বসার পূর্বেই পড়তে হয়।
এটি মুস্তাহাব। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَمْرِو بْنِ سُلَيْمٍ الزُّرَقِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ.

আবূ কাতাদাহ্ সালামী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে নেয়। (বুখারী শরীফ,৪৪৪,১১৬৩; মুসলিম ৬/১০, হাঃ ৭১৪, আহমাদ ১৫৭৮৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩১)

মসজিদে প্রবেশ করে সুন্নাতে মুআক্কাদাহ পড়তে হলে ঐ নামায আর পড়তে হয় না। কারণ, তখন এই সুন্নতই ওর স্থলাভিষিক্ত ও যথেষ্ট হয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্ ১৫/৬৭, লিকাউবাবিল মাফতূহ্, ইবনে উসাইমীন ৫৩/৬৯)

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
তাহিয়্যাতুল মাসজিদ মসজিদ প্রবেশ করার পর বসার পূর্বেই পড়তে হয়।
এটি মুস্তাহাব,পড়লে ছওয়াব,না পড়লে কোনো গুনাহ নেই।
শুধুমাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথেই এটি সীমাবদ্ধ নয়।
এটির সম্পৃক্ততা হলো মসজিদে প্রবেশের সাথে।
ব্যাক্তি যত বার মসজিদে প্রবেশ করবে, ততবার বসার পূর্বেই উক্ত নামাজ আদায় করতে পারবে।
তবে এতে কোনো  আবশ্যকীয়তা নেই। 

(০২)
এক্ষেত্রে ৫ বারই তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজ আপনি আদায় করতে পারবেন।
এক বার আদায় করলে শুধু সেই একবার প্রবেশের সালাত হবে,অন্য সময় যে আবারো প্রবেশ করলেন,সেগুলোর টা আদায় হবেনা।
,
তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়, যে আদায় করতেই হবে।
এমন কোনো আবশ্যকীয়তা নেই       

(০৩)
যেহেতু এক্ষেত্রে স্কীনে হাতের স্পর্শ হচ্ছেনা,তাই অযু ছাড়া এভাবে পড়া যাবে।
নাজায়েজ নয়। তবে আদবের খেলাফ।

(০৪)
সেটি হারাম টাকায় ক্রয়কৃত খাবার।
তাই তাহা আপনার জন্যেও খাওয়া জায়েজ হবেনা। 

(০৫)
হ্যাঁ হবে। 

(০৬)
এক্ষেত্রে আপনি ইনকামের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
আর তাদের থেকে এই হারাম টাকা থেকে যেই পরিমান খাবার খাবেন,সেই পরিমান টাকা পরবর্তীতে টাকা উপার্জনের পর  ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
,
আর ঘুষের টাকা ব্যাতিত বৈত ইনকামের টাকা থেকে খাওয়া,খরচ নেওয়া এগুলো তো জায়েজ।
এতে কোনো সমস্যা নেই।        

(৭.৮)
এটি জায়েজ নেই।
,
প্রয়োজন হলেও জায়েজ নেই।
সেটির উপর আর আপনার মালিকান নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
“ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, দান করার পর যে তা ফিরিয়ে নেয়, সে ঐ লোকের মত, যে বমি করে তা আবার খায়।” (সহীহ বুখারীঃ ২৬২১)

ইমাম মুসলিম সহীহ মুসলিমে হেবা অধ্যায়ে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন এভাবে:
تحريم الرجوع في الصدقة والهبة بعد القبض
“দান-সদকা ও হেবা হস্তান্তরের পরে ফিরিয়ে নেয়া হারাম।”

জন্মদাতা পিতা তার সন্তানকে কোন সম্পত্তি হেবা করে থাকলে ইচ্ছে করলে ফিরিয়ে নিতে পারে। 

যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
لا يحل لمسلم أن يعطي العطية ثم يرجع فيها، إلا الوالد فيما يعطي ولده
“কোন মুসলিম কোন দান করার পর ফিরিয়ে নেয়া বৈধ নয়। তবে পিতা তার সন্তানের নিকট থেকে ফিরিয়ে নিতে পারে।” (মুসনাদে আহমদ, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত। হাদীস নং ৫৪৬৯, তিরমিযী হা/২১৩২)
 
(০৯)
জী,উক্ত ব্যাখ্যা সহীহ।
,
(১০)
তার পিছনে সালাত আদায় করলে সালাত আদায় হয়ে যাবে। 
তবে বিদয়াতি ইমামের পিছনে নামাজ যেহেতু মাকরুহ।
সুতরাং সেও বিদয়াতি হলে তার পিছনেও নামাজ আদায় মাকরুহ হবে। 

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...