বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রত্যেক মানুষের জন্য দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করা ও সেই অনুযায়ী আ'মল করা ফরয।
এবং শুধুমাত্র নিজে আ'মল করলে হবে না বরং নিজে আ'মল করার সাথে সাথে অন্যকেও উৎসাহিত করতে হবে তবেই আপনার নামায-রোযা সহ সমস্ত ইবাদাত পূর্ণ হবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন:
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ( ﺍﻟﻨﺤﻞ : ١٢٥ (
আপনি আপনার প্রতিপালকের দিকে আহবান করুন হিকমত বা প্রজ্ঞা দ্বারা এবং সুন্দর ওয়াজ-উপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উৎকৃষ্টতর পদ্ধতিতে আলোচনা-বিতর্ক করুন। (সূরা নাহল: ১২৫)
★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
আপনি হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে সেই বোনকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকুন।
★পূর্বের যাবতীয় গুনাহের কাজ ছেড়ে দিতে বলুন,খালেস দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করতে বলুন।
পরিপূর্ণ পর্দা করতে বলুন।
তওবার মাধ্যমে সকল গোনাহই ক্ষমা হয়ে যায়।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ ۚ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللَّهِ ۗ وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ [٩:٣]
আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর,আর যদি মুখ ফেরাও,তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও। [সূরা তওবা-৩]
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢
নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [বাকারা-২২২]
আরো জানুনঃ
★গায়রে মাহরাম পুরুষ দের সাথে দেখা সাক্ষাৎ কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে বলুন।
তার জন্য মাহরাম কে কে,সেটি জানান।
★তাকে ইসলামের জ্ঞানঅর্জন করতে বলুন,এর জন্য আহকামে জিন্দেগী সহ কিছু বই পড়তে বলুন।
হক্কানী উলামায়ে কেরামদের জান্নাত জাহান্নামের বয়ান এর রেকর্ড শুনতে বলুন।
প্রয়োজনে দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের জন্য আমাদের iom এ ভর্তি হতে বলুন।
★নিয়মিত নামাজ আদায় করতে বলুন।
বলুন যে কখনো নামাজ ত্যাগ করবে না।
এবং নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দোয়া করবে।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ " وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)
★অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করে সর্বদায় সৎ ব্যাক্তিদের সাথে উঠাবসার কথা বলুন।
সুরা তওবার ১১৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ کُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۱۱۹﴾
হে মুমিনগণ,তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।
“তোমরা সবাই সত্যবাদীদের সাথে থাক” বাক্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, সত্যবাদীদের সাহচর্য এবং তাদের অনুরূপ আমলের মাধ্যমেই তাকওয়া লাভ হয়। আর এভাবেই কেউ ধ্বংস থেকে মুক্তি পেতে পারে। প্রতিটি বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারে। [ইবন কাসীর]
★বাসায় নিয়মিত ফাজায়েলে আমাল থেকে তা'লিম করতে বলুন।
★গুনাহের পরিবেশ থেকে দূরে থাকতে বলুন।
(০২)
ফ্রেন্ড লিস্টে ছেলে ফ্রেন্ড রাখা ফেতনার কারন।
তাই এটি নিষেধ করা হয়।
বিনা প্রয়োজনে গায়রে মাহরাম ছেলেদের ফ্রেন্ড লিস্টে রাখা যাবেনা।
(০৩)
শরীয়তের নীতিমালা মেনে ফেসবুক চালাইতে পারবে।
তবে গুনাহের শংকা থাকলে ফেসবুক চালাবেনা।