জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়ত মানুষের নাম নিয়ে ব্যঙ্গ করাকে মারাত্মক গুনাহ ও গর্হিত কাজ বলে ঘোষণা করেছে।
নাম বিকৃত করাও জায়েজ নেই।
,
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّ وَ لَا تَلْمِزُوْا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.
হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা এসব থেকে বিরত না হবে তারাই যালেম। -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ১১
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তে কাহারো নাম বিকৃত করা জায়েজ নেই।
তবে নাম সংক্ষিপ্ত করনের জন্য শেষের দিকের বাক্য,বা শব্দ বাদ দেওয়া জায়েজ আছে,তবে শর্ত হলো যাকে ডাকা হচ্ছে,সে যেনো কষ্ট না পায়।
কষ্ট পেলে কোনো ভাবেই জায়েজ হবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত শব্দাবলী দিয়ে ডাকা বৈধ হবেনা।
,
(০২)
এভাবে নাম করন বৈধ নয়।
বিনতে আব্দুল ওয়াহিদ বলতে হবে।
তবে বাকি দুটি নাম যেহেতু বান্দার নাম হিসেবে আবদ যুক্ত না করেই রাখা যায়,তাই সেগুলো এভাবে রাখা যাবে।
যেমনি বিনতে হাফিজ,বিনতে কারিম
,
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
এতে গুনাহ হবে।
অন্তরে শিরক জাতীয় কিছু না থাকলে এটিকে শিরক বলা হবেনা।
(০৪)
এতে গুনাহ হবে।
অন্তরে শিরক জাতীয় কিছু না থাকলে এটিকে শিরক বলা হবেনা।
(০৫)
হ্যাঁ জায়েজ হবে।
বরং তাহা মুসলিম উম্মাহর জন্য জরুরিও বটে।
বিস্তারিত জানুনঃ