জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি হায়েজ/নেফাছ অবস্থায় কোনো মহিলা আযানের জবাব দেয়,তাহলে শরীয়তের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
তার জন্য এটি জায়েজ আছে।
তবে আযানের জবাব দেওয়া তার উপর বাধ্যতামূলক নয়।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، قَالَتْ كُنَّا نُؤْمَرُ أَنْ نَخْرُجَ يَوْمَ الْعِيدِ، حَتَّى نُخْرِجَ الْبِكْرَ مِنْ خِدْرِهَا، حَتَّى نُخْرِجَ الْحُيَّضَ فَيَكُنَّ خَلْفَ النَّاسِ، فَيُكَبِّرْنَ بِتَكْبِيرِهِمْ، وَيَدْعُونَ بِدُعَائِهِمْ يَرْجُونَ بَرَكَةَ ذَلِكَ الْيَوْمِ وَطُهْرَتَهُ.
উম্মু ‘আতিয়্যাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন আমাদের বের হবার আদেশ দেয়া হত। এমন কি আমরা কুমারী মেয়েদেরকেও অন্দর মহল হতে বের করতাম এবং ঋতুমতী মেয়েদেরকেও। তারা পুরুষদের পিছনে থাকতো এবং তাদের তাকবীরের সাথে তাকবীর বলতো এবং তাদের দু‘আর সাথে দু‘আ করত- সে দিনের বরকত এবং পবিত্রতা তারা আশা করত। (বুখারী শরীফ ৯৭১.৩২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯২০)
لأنہا لیسا من أہل الإجابۃ بالفعل فکذا بالقول۔ (شامي ۲؍۶۵ زکریا)
আযানের জবা দেওয়া মহিলাদের উপর ওয়াজিব নয়,কেননা যেহেতু কাজের মাধ্যেমে আযানের জবাবের উপযুক্ত নয়,তাই মৌখিক জবাবেরও সে আহল নয়।
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ
الفتاوى الهندية (1/ 38):
’’ويجوز للجنب والحائض الدعوات وجواب الأذان ونحو ذلك، کذا في السراجية‘‘.
সারমর্মঃ
জুনুবি ব্যাক্তি, হায়েজাহ মহিলার জন্য দাওয়াত, আযানের জবাব এবং এই জাতীয় কাজ জায়েজ আছে।
ফাতাওয়ায়ে সিরাজিয়াতে আছেঃ
ویجوز لہا الدعوات وقراء ۃ: اللّٰہم إنا نستعینک وجواب الأذان ونحو ذٰلک۔ (فتاویٰ سراجیۃ ۵۱)
সারমর্মঃ
হায়েজাহ মহিলার জন্য দাওয়াত, اللّٰہم إنا نستعینک বলা,আযানের জবাব দেওয়া এবং এই জাতীয় কাজ জায়েজ আছে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জুনুবি ব্যাক্তি,হায়েজাহ মহিলা আযানের জবাব দিতে পারবে।
শরীয়তের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
(০২)
যেহেতু এটি তাকে চাপে ফেলা হচ্ছে।
আর শরীয়তের বিধান হলো কেউ যতক্ষন পর্যন্ত নিজ সন্তুষ্টি চিত্তে না দিবে,সেটি গ্রহন নাজায়েজ হবে।
তাই উক্ত বক্তব্য সহীহ।
চাপে ফেলিয়ে খাওয়া জায়েজ নেই।
তবে তিনি যদি সন্তুষ্টি চিত্তে খাওয়ায়,তাহলে তাহা খাওয়া জায়েজ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।