ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7548 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
শুকুর যেভাবে তার সমস্ত অংশ নিয়ে অপবিত্র যাকে নজসুল আইন বলা হয়।কুকুর কিন্তু সেভাবে তার সমস্ত অংশ নিয়ে অপবিত্র নয়।বরং কুকুরের পশম পবিত্র।তার চামড়া পবিত্র কি না? সে সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
তবে দেবাগতের পর কুকুরের চামড়া পবিত্র হওয়া সম্পর্কে সবাই একমত।এবং শরীরের ঐ সমস্ত অঙ্গ পবিত্র যাতে হায়াত থাকে না,যেমন নক,পশম ইত্যাদি।তবে তার গোশত নাপাক।
আল্লামা আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ এ সম্পর্কে লিখেন,
وَلَا خِلَافَ فِي نَجَاسَةِ لَحْمِهِ وَطَهَارَةِ شَعْرِهِ.
কুকুরের গোসত নাপাক এবং তার পশম পাক হওয়ার বিষয়ে সবাই একমত।
সুতরাং কুকুরের শরীরের সাথে কারো শরীর লেগে গেলে তার কাপড় নাপাক হবে না।তবে সাবধান রাসূলুল্লাহ সাঃ কুকুরকে অপছন্দ করতেন।এবং প্রয়োজন ব্যতীত কুকুর লালনপালনের নিষেধ করতেন।যেজন্য ফুকাহায়ে কেরাম,শিকার করা,বকরী রাখালি করা,ক্ষেত পাহারা দেওয়া ,বাড়ী পাহাড়া দেওয়া সহ বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে কুকুর পালনের অনুমতি দিয়ে থাকেন।অযথা কুকুর লালন পালন জায়েয নয়।রাসূলুল্লাহ সাঃ কালো নিকতা বিশিষ্ট কুকুর হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1334
(২) বিড়ালের লোম নাপাক নয়।
(৩) বিড়ালের লোম পবিত্রতার জন্য ক্ষতিকর নয়।
(৪) বিড়াল কোনো খাবারে মুখ দিলে সেটা খাওয়া যাবে।
(৫) হাত দিয়ে কুকুর ধরলে বা কুকুরের সাথে মিশলে নাপাক হবে না।