আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
269 views
in পবিত্রতা (Purity) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহনাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

1/ কুকুর এর সাথে শরীর এর পোষাক লাগ্লে কি পোষাক নাপাক হয়ে যাবে?

2/ বিড়াল এর লোম কি নাপাক?

3/ বিড়াল এর লোম কি ক্ষতিকর?

4/ বিড়াল কোনো খাবার এ মুখ দিলে খাওয়া যাবে কি?

5/ হাত দিয়ে কুকুর ধরলে বা কুকুর এর সাথে মিশলে নাপাক হয়ে যায় কি?


জাজাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7548 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
শুকুর যেভাবে তার সমস্ত অংশ নিয়ে অপবিত্র যাকে নজসুল আইন বলা হয়।কুকুর কিন্তু সেভাবে তার সমস্ত অংশ নিয়ে অপবিত্র নয়।বরং কুকুরের পশম পবিত্র।তার চামড়া পবিত্র কি না? সে সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
তবে দেবাগতের পর কুকুরের চামড়া পবিত্র হওয়া সম্পর্কে সবাই একমত।এবং শরীরের ঐ সমস্ত অঙ্গ পবিত্র যাতে হায়াত থাকে না,যেমন নক,পশম ইত্যাদি।তবে তার গোশত নাপাক।

আল্লামা আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ এ সম্পর্কে লিখেন,
وَلَا خِلَافَ فِي نَجَاسَةِ لَحْمِهِ وَطَهَارَةِ شَعْرِهِ.
কুকুরের গোসত নাপাক এবং তার পশম পাক হওয়ার বিষয়ে সবাই একমত।

সুতরাং কুকুরের শরীরের সাথে কারো শরীর লেগে গেলে তার কাপড় নাপাক হবে না।তবে সাবধান রাসূলুল্লাহ সাঃ কুকুরকে অপছন্দ করতেন।এবং প্রয়োজন ব্যতীত কুকুর লালনপালনের নিষেধ করতেন।যেজন্য ফুকাহায়ে কেরাম,শিকার করা,বকরী রাখালি করা,ক্ষেত পাহারা দেওয়া ,বাড়ী পাহাড়া দেওয়া সহ বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে কুকুর পালনের অনুমতি দিয়ে থাকেন।অযথা কুকুর লালন পালন জায়েয নয়।রাসূলুল্লাহ সাঃ কালো নিকতা বিশিষ্ট কুকুর হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1334

(২) বিড়ালের লোম নাপাক নয়।

(৩) বিড়ালের লোম পবিত্রতার জন্য ক্ষতিকর  নয়।
(৪) বিড়াল কোনো খাবারে মুখ দিলে সেটা খাওয়া যাবে।
(৫) হাত দিয়ে কুকুর ধরলে বা কুকুরের সাথে মিশলে নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...