বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কোনো সাধারণ মুসলমানের জন্য অন্য ধর্মের গ্রন্থ পড়া জায়েয হবে না।
হযরত জাবের (রা.) বলেন যে, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রা) তাওরাতের একটি কপি নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! এটি তাওরাতের একটি কপি। একথা শুনে তিনি চুপ রইলেন। অতঃপর ওমর (রা.) পড়তে শুরু করলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারা পরিবর্তিত হ’তে থাকল। তখন আবুবকর (রা.) ওমরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, তোমার সর্বনাশ হৌক! তুমি কি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর চেহারার অবস্থা দেখছ না? তখন ওমর রাসূল (সা)-এর চেহারার দিকে তাকালেন। অতঃপর (ক্ষমা চেয়ে) বললেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ক্রোধ হ’তে আল্লাহ্র আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমরা আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদকে নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট রয়েছি’। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন নিহিত, তার কসম করে বলছি, যদি আজ মূসা তোমাদের নিকটে আবির্ভূত হ’তেন। আর তোমরা তার অনুসরণ করতে এবং আমাকে পরিত্যাগ করতে, তাহ’লে অবশ্যই তোমরা সরল পথ হ’তে বিচ্যুত হ’তে। যদি মূসা বেঁচে থাকতেন ও আমার নবুঅতকাল পেতেন, তাহ’লে অবশ্যই তিনি আমার অনুসরণ করতেন’।
-দারেমী। মিশকাত হা/১৯৪, আলবানী সনদ হাসান।
(২)
কোনো আলিম বা এরূপ পর্যায়ের ব্যক্তির জন্য হককে হক প্রমাণিত করতে এবং বাতিলকে বাতিল প্রমাণিত করতে অন্য ধর্মীয় গ্রন্থ অধ্যয়ন জায়েয হবে।
(৩)
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়া জায়েয।