বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/13237 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সাহরী খাওয়া সুন্নাত। হাদীসে এসেছে-
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»
তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে। (সহীহ বোখারী-১৯২৩,সহীহ মুসলিম ১০৯৫)
عَنْ حَفْصَةَ، قَالَ: قَالَتْ: «تَسَحَّرُوا وَلَوْ بِشَرْبَةٍ مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّهَا قَدْ ذُكِرَتْ فِيهِ دَعْوَةٌ» - «مصنف ابن أبي شيبة»
(2/ 275)
তোমরা সেহরী খাও, যদিও এক ঢোক পানি দ্বারাও হয়, কেননা সেহরির সময় যে দু’আ করা হবে, তা অবশ্যই কবুল হবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ-২/২৭)
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, ‘সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন। (মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
রোযা হল, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার,এবং সহবাস থেকে বিরত থাকা। এর নামই রোযা। রোযার জন্য সেহরি খাওয়া জরুরী কোনো বিষয় নয়।রোযার জন্য সেহরি জরুরী, এ মর্মে কোনো হাদীস নেই।