আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
১)

আমার ভাই ১ টা রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন,যেখানে দেয়ালে TikoTok সহ আরো কিছু হারাম কন্টেন্টের লগো, বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের ফেইস আছে, এছাড়া সেখানে যিনি শেফ তার সংগে খালাতো বোন কে সহযোগী হিসেবে রেখেছে, যে শুধু হিজাব পড়ে৷ এসব মিলিয়ে আমার ভাইয়ের রেস্টুরেন্টে যেতে বা ওখান থেকে খাবার আনলে খেতে ইচ্ছে করেনা৷ এমনকি আব্বু টাকা দিয়ে কিনে আনলেও খেতে চাইনা,যেতে বললেও যাইনা
 আম্মু জোর করলে একটু খাই৷
এখন আমার এরকম পরিস্থিতিতে কি করা উচিত?
➡️(ক) ভাইয়ার এই রেস্টুরেন্টের জন্য যে পেইজ সেখানে মিউজিক সহ খাবারের ভিডিও আপলোড হয়৷ পেইজে লাইক দেয়া কি আমার গুনাহ হবে? (ওখানে শুধু খাবারের ছবিও থাকে)
➡️খ)ফুডি কিছু গ্রুপ, যেখানে ভাইয়া চায় কেউ বেস্ট পিজ্জা জিজ্ঞেস করলে আমি যেনো তার রেস্টুরেন্টের নাম বলি, তার খাবার সত্যিই মজার বলে আমার বলতে অসুবিধা নেই৷ কিন্তু পর পুরুষদের পোস্টে লাইক, কমেন্ট তো করা গুনাহ, বেশির ভাগই পুরুষদেরই থাকে, আবার ভাইয়া হয়তো ভাবছে আমি তাকে কোনো রকম সাপোর্ট করিনা,হয়তো তাতে দুরত্বও বেড়ে যাবে, আমার কি করা উচিত?

২) আমি iom এর ১৫ ব্যাচে ছিলাম,ভালোভাবে  পড়া না হওয়ায় ড্রপ দিয়ে আবার ১৬ ব্যাচে ভর্তি হয়েছিলাম৷ আমার বাসার কাউকে সেভাবে আমার মাদ্রাসায় পড়ার ব্যাপারে কিছু বলিনি৷ তারা শুধু জানে হয়তো কিছু ১ টা ফোনে পড়ি৷ এই টাইপ৷ ইক্সেক্ট কিছু জানেনা৷

 আমার পরিবার দ্বীনের দিক দিয়ে প্রচন্ড গাফেল৷ আম্মু নিজে পর্দা করলেও পর পুরুষদের সংগে কথায় সীমিত রাখেননা, আমার ১৩ বছরের বোনকে  পর্দা করতে বিরত রাখেন,আব্বুও যেকোনো মানুষের নিকট আমার বোনকে প্রদর্শন করে৷
আমার এ বছর বিয়ে হয়েছে,আনুমানিক জানুয়ারি/ ফেব্রুয়ারিতে শ্বশুড় বাড়িতে নিয়ে যাবেন তারা৷ আর

আমার স্বামির ইভেন্টের বিজনেস,যেখানে বিয়ে জাতীয় ইভেন্টের সাজানোর পর সেখানে তারা থেকে যায়,মিউজিকেল পরিবেশ,নারী পুরুষ অবাধ বিচরণ সেখানে মুখোর থাকে,এছাড়া ওনার ওয়েডিং ফটোগ্রাফি  বিজনেস আছে, এমন একটা পরিবেশে আমি জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডেন্ট হয়ে দ্বীনি সহবত ছাড়া টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে যায়৷যদিও ২য় সেমিস্টার থেকে যে পড়াটা এই ইলম অর্জন ফরজ নয়,আমি তাও দ্বীনি সহবত,আবার ড্রপ দিলে ঝড়ে পড়ার আশংকায় কন্টিনিউ করতে চাচ্ছি৷
আমার প্রশ্নঃ আমি যদি আমার স্বামিকে আমার মাদ্রাসার ব্যাপারে জানাই, এরপর যদি তিনি আমাকে মাদ্রাসায় পড়া কন্টিনিউ রাখতে নিষেধ করেন তাহলে কি আমি ওনার কথা না শুনে লুকিয়ে কন্টিনিউ রাখলে আমার গুনাহ হবে? স্বামির অবাধ্যতার জন্য?

(তিনিও মোটামুটি সন্দেহ করে আমি কিছুর সাথে যুক্ত,তিনি মনে করেন আমাকে কেউ ব্রেইন ওয়াশ করে)

৩) উপরিউক্ত যত কথা বলেছি আমার আশেপাশের আপন জন দের ব্যাপারে, তাদেরকে কিভাবে ইসলাহ করবো? আমি জানি অন্যায় কিন্তু আমি কিছু না বলায় তো আমার চুপ থাকায় আমার গুনাহ হচ্ছে,আবার আমি যেমন কোনটা কেনো অন্যায় কেনো উচিত না এসব ব্যাপার সম্পর্কে জেনেছি তাদেরতো সেভাবে জ্ঞান নেই৷ বা জানলেও করেনা৷ আবার আমার মুখে অনেক জড়তা,গুছিয়ে বলতে পারিনা,আগে কিছু বলতে গেলে কোথায় থেকে কই চলে যেতাম,ঠিক থাকতো না,ভুলভাল বলতাম৷ উলটো বিরক্ত হতো সামনের জন৷
(বিঃদ্রঃ আমার কোনো ভুলে,বা কখনো শয়তানের ওয়াশওয়াশায় রাগ উঠলে পরিবারের মানুষ প্রচন্ড রিয়েক্ট করে)

আমায় সাহায্য করুন শায়েখ,আমি দ্বীন থেকে বিচ্যুত হওয়ার ভয়ে আছি, সামনে আমার যদি কখনো সন্তান হয়, তাদের  কিভাবে এই ফিতনাময় পরিবেশে সঠিক শিক্ষা দেয়ার হক আদায় করবো সে ব্যপারেও চিন্তিত

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
যে রেস্টুরেন্টে ছবি টাঙ্গানো রয়েছে, নারী পুরুষদের একত্রে বসবাস রয়েছে,সেই রেস্টুরেন্টে যাওয়া বা সেই রেস্টুরেন্টর খাবার গ্রহণ না করাই উচিৎ। তবে এই সমস্ত কারণে কোনো খাবার হারাম পর্যায়ে গিয়ে পৌছবে না। সুতরাং আপনি আপনার ভাইয়ের রেস্টুরেন্টের খাবার থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। গ্রহণ করা নাজায়েয হবে না।হ্যা যদি বেচে থাকতে পারেন, তবে সেটা অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।

(২)
পরপুরুষের পোস্টে লাইক কমেন্ট করতে পারবেন না এবং মিথ্যা সাক্ষ্যও আপনি দিতে পারবেন না।

(৩)
জ্বী,  আপনি স্বামীর সম্পূর্ণ হক আদায় পূর্বক দ্বীন শিক্ষায় ব্রতী হতে পারবেন।প্রয়োজনে স্বামীর অগোচরে ও পারবেন।

(৪)
আপনি হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে তাদেরকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন।এজন্য আপনি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জীবনী কে ভালভাবে পড়বেন ও সেই আলোকে জীবন পরিচালনা করবেন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 230 views
...