ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বন্ধকি প্রথা হারাম নয়, বরং বন্ধকী লেনদেন করার পর উক্ত জিনিষের ব্যবহার সুদের আওতাধীন।
https://www.ifatwa.info/4958 নং ফাতাওয়ায় বন্ধকী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার এক পর্যায়ে আমরা বলেছি যে, বর্তমান সমাজে জমি বন্ধকের প্রচলন রয়েছে।অহরহ জমি বন্ধক দেওয়া হচ্ছে বা নেওয়া হচ্ছে।কিন্তু জমি বন্ধকের ইসলামী নিয়মনীতি কি এ সম্পর্কে অনেকেরই কোনো ধারণা নেই।
ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।
বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ.
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(ُبِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
তরজমাঃরেহেন(বন্ধক)এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা।পারিভাষায় রেহেন বলা হয়,কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা।যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4958
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
বর্ণিত পদ্ধতিটি সুদ হিসেবে গণ্য হবে।
(২)
পর্দা করে মাহরামদের সাথে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনার জন্য বানিজ্য মেলায় যাওয়া যাবে।তবে বিপরীত লিঙ্গ থেকে সর্বদা দূরে থাকতে হবে।