শুয়ে শুয়ে বা কখনো বিছানার সাথে হেলান দিয়ে বসে মোবাইলে এ্যাপে কোরআন শরীফ মুখস্ত করা বা তেলাওয়াত করা যাবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন-
فَاِذَا قَضَیۡتُمُ الصَّلٰوۃَ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِکُمۡ ۚ فَاِذَا اطۡمَاۡنَنۡتُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا ﴿۱۰۳﴾
‘অতপর যখন তোমরা নামাজ শেষ কর, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শোয়া অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামাজ ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নামাজ মুসলমানদের উপর ফরজ।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১০৩)
অপর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন
‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিন সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের আবর্তনে জ্ঞান সম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে, বসে এবং শোয়া অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে। আর আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা গবেষণা করে। (তারা বলে)- পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সব পবিত্রতা তোমারই, আমাদের তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯০-১৯১)
★তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন শুয়ে কুরআন তিলাওয়াত করাকে আদবের খেলাফ হলে আখ্যায়িত করেছেন।
আদবের বিষয় যেহেতু সমাজের সাথে সম্পৃক্ত।
তাই কোনো সমাজে যদি শুয়ে কুরআন তিলাওয়াতকে আদবের খেলাফ ধরা হয়,সেই সমাজে এভাবে কুরআন তিলাওয়াত না করাই উচিত।
★তবে কোনোভাবেই তন্দ্রাবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা সঠিক নয়।
,
রাসূল (ছাঃ) বলেন,
إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ فَاسْتَعْجَمَ الْقُرْآنُ عَلَى لِسَانِهِ فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُولُ فَلْيَضْطَجِعْ،
‘তোমাদের কেউ (ঘুমের ঘোরে) রাতের ছালাতে দন্ডায়মান হ’লে কুরআন স্বাভাবিকভাবে তার মুখ থেকে বের হয় না এবং সে কি তেলাওয়াত করছে তাও বুঝতে পারে না। কাজেই এরূপ অবস্থায় সে যেন অবশ্যই ঘুমিয়ে পড়ে’।
(মুসলিম হা/৭৮৭; আবূদাঊদ হা/১৩১১; ইবনু মাজাহ হা/১৩৭২।)