আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
471 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। প্রশ্নটি অন্য একজনের পক্ষ থেকে করা। একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে একে অপরকে পছন্দ করে। এই পছন্দের বিষয় উভয়ের পরিবার ই জানে এবং উভয় পরিবারের ই ছেলে মেয়ের পছন্দ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মেয়ের পরিবার মেয়েকে এখনই বিয়ে দিতে চাচ্ছে না। মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও তার গ্রাজুয়েশন শেষ করতে এখনও প্রায় তিন বছর বাকি। মেয়ের পরিবার চাচ্ছে মেয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করলে তারপর বিয়ে দিবে। ছেলের অলরেডি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট এবং ভরনপোষণ করার মত সামর্থ্য রয়েছে।  এখন তারা হারাম রিলেশনে না থেকে হালাল বিয়ে করতে চাচ্ছে।  যেহেতু মেয়ের পরিবার দেরীতে বিয়ে দিতে চাচ্ছে তাই তারা দুজন চাচ্ছে উভয় পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করে ফেলতে যেন রিলেশনশিপটা হালাল হয়, পরবর্তীতে মেয়ের গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়ে গেলে তখন পারিবারিকভাবে আবার বিয়ে করতে। এভাবে বিয়ে করলে বিয়েটা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার পরামর্শেই বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আপনি  মাতাপিতা এবং পারিবারিক ভাবে বিয়ে করুন। পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন। আমরা আপনাদেরকে পালিয়ে বা গোপন বিয়ের পরামর্শ কখনো দিতে পারিনা। তারপরও যদি দুজন সাক্ষীর সামনে করে নেন, তাহলে বৈধ হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...