উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
(১.২)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সেহরী খাওয়া মুস্তাহাব।
ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
তবে সেহরী খাওয়ার দ্বারা রোযার রাখতে শক্তি অর্জন হয়।
তাই সেহরি খাওয়া মুস্তাহাব।
সুতরাং সাহরী খাওয়া ছাড়াই কেহ রোযা রাখলে রোযা আদায় হয়ে যাবে,পুরোপুরি ছওয়াবও পাবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ৩/১৮৫)
এতে ছওয়াবের ভিতরে কোনো কমতি করা হবেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত এই অবস্থাতেই আপনি রোযা রেখে দিন।
অর্ধ দিনের আগেই আপনাকে মনে মনে রোযার নিয়ত করতে হবে।
নতুবা রোযা হবেনা।
হ্যাঁ যদি আপনার রোযা রাখলে খুব কষ্ট হবে বলে মনে করেন,তাহলে যদি অর্ধ দিনের আগেই রোযার নিয়ত না করে থাকেন,তাহলে রোযা নাও রাখতে পারেন।
.
হাদীস শরীফে এসেছে
لما فی المشکوۃ (صـ۱۸۱): عن عائشۃ رضی اللہ عنھا قالت دخل علی النبی ﷺ ذات یوم فقال ھل عندکم شی فقلنا لا قال فانی اذا صائم۔الخ
যার সারমর্ম হলো এক দিন রাসুল সাঃ সুবহে সাদিক থেকে কিছুই খাননি,দিনের বেলা বাড়িতে এসে আয়েশা রাঃ জিজ্ঞাসা করলেন যে ঘরে কি খাওয়ার মতো কোনো জিনিস আছে?
তিনি জবাব দিলেন যে না। কিছুই নেই
তখন তিনি রোযা রাখার পুরোপুরি নিয়ত করে ফেললেন।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
وفی الشامیۃ (۴۱۹/۲): (قولہ ویستحب السحور) لما رواہ الجماعۃ الا ابا داود عن انس قال قال رسول اﷲ ﷺ ’’تسحروا فان فی السحور برکۃ‘‘ قیل المراد بالبرکۃ حصول التقوی علی صوم الغد أوزیادۃ الثواب … ولم أرصریحا فی کلامھم أنہ یحصل السنۃ بالماء وحدہ وظاھر الحدیث یفیدہ وھو مارواہ احمد ’’السحور کلہ برکۃ فلا تدعوہ ولو أن یجرع أحدکم جرعۃ من ماء فان اﷲ وملائکتہ یصلون علی المتسحرین‘‘۔
যার সারমর্ম হলো সেহরী খাওয়া মুস্তাহাব।
এটা ওয়াজিব বা ফরজ নয়।