আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in সাওম (Fasting) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি কাফফারা রোযা রাখতে চাই কিন্তু আমার পিরিয়ড কোনো মাসে ৭ দিন থাকে আবার কোনো মাসে ৮ দিন থাকে তাহলে আমি যদি ৮ দিনের দিন পবিত্র হয়ে রোজা রাখি কিন্তু যদি হাল্কা ময়লা দেখা যায় তাহলে কি আমার রোজা ভেঙে যাবে? আমাকে কি আবার প্রথম থেকে রোযা রাখতে হবে?
২ঃ আবার যদি আমি ৭ দিনের দিন পিরিয়ড হবে ভেবে রোজা না রাখি তাহলে তো আমার অইদিন কাফফারা রোযা মিস গেল তাহলে আমার কি আবার প্রথম থেকে কাফফারা রোযা রাখতে হবে?  এখন আমার করনিয় কি?

৩ঃ কোনো কারন এ যদি কাফফারা রোযা রাখতে রাখতে ভেঙে ফেলি তাহলে এই রোজা গুলা কি নফল রোযা হিসেবে ধরা হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

দশদিনের ভিতরে যেকোনো সময় রক্ত দেখা গেলে তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং ৮ ম দিনে যদি হায়েযের রক্ত দেখা যায়, তাহলে এই ৮ম দিন হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। এভাবে ৯ম ১০ম দিনে রক্ত দেখা গেলে সেই দিনকেও হায়েয হিসেবে ধরে নেয়া হবে।

কাফফারার রোযায় হায়েযের কারণে ভাঙ্গন আসলে কাফফারার রোযাতে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
আপনি রোযা রাখবেন। রোযা রাখার পর যদি রক্ত দেখা যায়, তাহলে আপনি রোযা ভঙ্গ করে নিবেন।

(৩)
জ্বী, নফল হিসেবেই বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...