ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)
দশদিনের ভিতরে যেকোনো সময় রক্ত দেখা গেলে তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং ৮ ম দিনে যদি হায়েযের রক্ত দেখা যায়, তাহলে এই ৮ম দিন হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। এভাবে ৯ম ১০ম দিনে রক্ত দেখা গেলে সেই দিনকেও হায়েয হিসেবে ধরে নেয়া হবে।
কাফফারার রোযায় হায়েযের কারণে ভাঙ্গন আসলে কাফফারার রোযাতে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
আপনি রোযা রাখবেন। রোযা রাখার পর যদি রক্ত দেখা যায়, তাহলে আপনি রোযা ভঙ্গ করে নিবেন।
(৩)
জ্বী, নফল হিসেবেই বিবেচিত হবে।