ফজরের সালাত আদায় হয়েছে?

Question

আসসালামু আলাইকুম
ফজরের সালাতে জামাত ধরতে তাকবির তাহরিমা বলার ঠিক আগ মুহুর্তে ইমাম সালাম ফিরিয়ে দেয়। আমি তাও তাকবির তাহরিমা বলে নামাজ শুরু করে শেষ বৈঠকে বসে তাশাহুদ পড়ে ফেলি। এরপর বাকি নামাজ পড়তে উঠে দাঁড়াই, এবং ফাতিহা পড়া শুরু করি। কিন্তু সালাম ফেরানোর পর তো জামআতে যোগ দেয়া যায়না। তাই আমি উক্ত নামাজ ভেঙে ফেলি মনে মনে এবং নতুন করে নিজে নিজে একলা ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ত করি। কিন্তু সমস্যা হলো, আমি যে নামাজ ভেঙে নতুন করে নামাজ শুরু করছি, সেটা আমি কিরাতের হাত ভেঙে, নামাজের জায়গা পরিবর্তন করে করিনি। মানুষের সামনে নামাজের মাঝে নামাজ ভাঙতে আমার অস্বাভাবিক লাগছিল। তাই আমি কাতারের ওই স্থানে দাঁড়িয়ে থেকে, হাত বাঁধা অবস্থাতেই নামাজ ভাঙার নিয়ত করে আবার তাকবির তাহরিমা পড়ে ওই অবস্থান থেকেই আমার সালাত নতুন করে আদায় করে নিয়েছি। অর্থাৎ বাইরের কেও বুঝবেই না যে আমি নতুন করে সালাত শুরু করেছি, আমি ওই একই নামাজ পড়ছি মনে করবে সকলে। এই নামাজ কি গ্রহণযোগ্য হবে? আমার কি কোনভাবে গুনাহ হয়েছে?

সন্দেহের কারণে আমি আবার সালাত করে নিয়েছি বাসায় এসে, সেক্ষেত্রে বিধান কি?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।

জবাবঃ-

আপনার প্রথম নামায যা আপনি মসজিদে পড়ে এসেছেন, আপনার সেই নামাযই বিশুদ্ধ হয়েছে।দ্বিতীয়বার নামায নফল হিসেবে বিবেচিত হবে।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)