আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,392 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
কাওকে হত্যা করা হয়েছে এবং সেখানে কোনো সাক্ষী ছিলনা। আইনের সহায়তা পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে কি জ্বিনদের সাহায্য নেয়া কি জায়েজ হবে? এতে কি জিনথেকে পাওয়া ইনফরমেশন এ বিশ্বাস করলে ঈমান হারা হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? শুনেছি বাইরের দেশে গোয়েন্দা সংস্থায় জ্বিনদের সাহায্য নেয়া হয়।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 
 
জিন থেকে সাহায্য নেওয়া তাদেরকে কাজে লাগানো ইত্যাদি জায়েজ কিনা,এই বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।         
,
কিছু কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেন জিন থেকে সাহায্য নেওয়া, তাদেরকে কাজে  লাগানো জায়েজ।  
 জিনকে  নিজের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন মানুষকে সাহায্যকারী বা শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগানো যায়, তেমনি জিনকেও  শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো যাবে। কাজ করিয়ে  তার পাওনা দিয়ে দিতে হবে। এটি জায়েজ আছে। 
,
সোলায়মান (আ.) জিনদের নিয়ে বাহিনী তৈরি করেছিলেন এবং তাদের দিয়ে নির্মাণকাজ করিয়েছেন। সুতরাং জিনদের সাহায্য নেওয়া নাজায়েজ নয়। তবে এটি বৈধ প্রক্রিয়ায় হতে হবে। জিনকে দিয়ে হারাম কাজ করা যাবে না, আবার জিনের কোনো শর্তও মানা যাবে না।
,
তবে আরো অনেক উলামায়ে কেরামগন ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
     
তারা বলেন যে জিনদের সাহায্য চাওয়া কখনও শুধু হারাম, কখনও এর সাথে শিরক, কখনও কুফর। এটা কিভাবে সাহায্য চাইছে, কিভাবে সাহায্য করছে এর ওপর নির্ভর করে।”

সুরা জিনে আল্লাহ তায়ালা বলেন –
وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا
অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের অহংকার বাড়িয়ে দিত। (সুরা জিন, আয়াত ৬)
সুতরাং
 “জিনদের সাহায্য চাওয়া হারাম”। তবে স্বাভাবিকভাবেই শয়তান/জিনরা তো এমনিতেই আমার কাজ করবে না। শয়তান বা জিনদের থেকে ফায়দা নিতে হলে, তাদের কথা অনুযায়ী স্যাটানিক রিচ্যুয়াল পালন করতে হয়, সেক্রিফাইস করতে হয়, আল্লাহর নামে না করে তাদের নামে পশু জবাই করতে হয়। ইত্যাদি ইত্যাদি।
,
 অনেক কবিরাজকে দেখা যায়,তারা বলে- গরু লাগবে, মুরগি লাগবে, ছাগল লাগবে। তাদের অনেকে নিজে এসব শয়তানের নামে বলি দেয়, আর অনেকে বলে “জবাই করার পর রক্তটা আমাকে দিয়েন।” তাঁরা এই রক্ত শয়তানের উপাসনায় ব্যবহার করে। যাদুবিদ্যায় বিভিন্ন মৃত প্রাণীর রক্ত ব্যবহার করে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন 
وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُم مِّنَ الْإِنسِ ۖ وَقَالَ أَوْلِيَاؤُهُم مِّنَ الْإِنسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَبَلَغْنَا أَجَلَنَا الَّذِي أَجَّلْتَ لَنَا ۚ قَالَ النَّارُ مَثْوَاكُمْ خَالِدِينَ فِيهَا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۗ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيم.
যেদিন আল্লাহ সবাইকে একত্রিত করবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা মানুষের মাঝে অনেককে তোমাদের অনুগামী করে নিয়েছ। মানুষদের মাঝে তাদের বন্ধুরা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, “আমরা পরস্পরে পরস্পরের মাধ্যমে উপকার লাভ করেছি।” আর এখন আপনি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন, আমরা তাতে উপনীত হয়েছি।
তখন তাদের বলা হবে “আগুন হল তোমাদের বাসস্থান। সেখানে তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে; আর আল্লাহ যেমন চাইবে..।” নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী। (সুরা আন’আম, আয়াত ১২৮)
,
★সুতরাং  প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত   "কাওকে হত্যা করা হয়েছে,সেখানে কোনো সাক্ষী ছিলনা। আইনের সহায়তা পাওয়া যায়নি"। সেক্ষেত্রে জ্বিনদের সাহায্য নেয়া  জায়েজ হবেনা।

★★এতে জিন থেকে পাওয়া ইনফরমেশন এ বিশ্বাস করলে ঈমান হারা হবেননা।
,
তবে তাদের কথা শুনে কোনো বিচার করা নাজায়েজ হবে। 

উল্লেখ্য যে  ঈমান হারা হওয়ার মতো কোনো কিছু যদি জিন থেকে শুনে বিশ্বাস করে,তাহলে অবশ্যই ঈমান হারা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ,তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)

সুতরাং  প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত   "কাওকে হত্যা করা হয়েছে,সেখানে কোনো সাক্ষী ছিলনা। আইনের সহায়তা পাওয়া যায়নি"। সেক্ষেত্রে জ্বিনদের সাহায্য নেয়া  জায়েজ হবেনা।

★★এতে জিন থেকে পাওয়া ইনফরমেশন এ বিশ্বাস করলে ঈমান হারা হবেননা।

,

তবে তাদের কথা শুনে কোনো বিচার করা নাজায়েজ হবে। 

উল্লেখ্য যে  ঈমান হারা হওয়ার মতো কোনো কিছু যদি জিন থেকে শুনে বিশ্বাস করে,তাহলে অবশ্যই ঈমান হারা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ,তওবা ইস্তেগফার করতে হবে।   

উত্তর টা আমি clear না। আমি কি উত্তর দাতার সাথে কথা বলে বুঝে নিতে পারি? এটা আমার জীবনের সাথে জড়িত। তাই আমি পথহারা হয়ে পড়েছি। আমাকে এর থেকে বের হতে সহায়তা করুন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...