আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১)আমাদের নবি (সাঃ) মাথায় তেল দিতে পছন্দ করতেন।

এখন আমাদের কে কি এমন বিশ্বাস রাখতে হবে যে মাথায় তেল দেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কল্যানকর???


২)আমি জিম করতে অনেক পছন্দ করি।

একদিন জিমে যাওয়ার সময় আম্মু বলল,"কাল তোমার পরিক্ষা,আজ জিমে যেও না।"
আমি আম্মুর সাথে খারাপ ব্যাবহার করে জিমে চলে যাই।এরপর আম্মু কে সরি বলে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নেই।
এরপর আরেকদিন জিমে যেতে দেরি হবে ভেবে আসরের নামাজ না পরেই জিমে চলে যাই।

এরপর আল্লাহর কাছে তাওবা করি যে আর কোনদিন এমন করব না


আল্লাহর কাছে ওয়াদা করি যে যদি আর কোন দিন জিমের কারনে কোন গুনাহ বা শিরক করি তবে সারাজীবন এর জন্য জিম করা বাদ দিয়ে দিব।


তাই,এখন থেকে খুব সতর্ক থাকি যাতে জিম এর জন্য কোন ভাবে গুনাহ বা শিরক না হয়ে যায়।
যেকোনো গুনাহ করার পরই মাথায় আসে যে আমি কি জিমের জন্য কোন গুনাহ করলাম কি না।।


যেকোনো গুনাহ বা শিরক করার পর আমার উচিত ছিল আল্লাহর অসন্তুষ্টি নিয়ে চিন্তা করা, কিন্তু আমি চিন্তা করছি জিম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গুনাহ করলাম কি না। এতে কি শিরক হবে???


৩)শিরক না এমন কিছু কে শিরক ভাবাও কি শিরক?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী,যেহেতু আমাদের নবি (সাঃ) মাথায় তেল দিতে পছন্দ করতেন। তাই এখন আমাদের কে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, মাথায় তেল দেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কল্যানকর।

(২)
যে কোনো গোনাহ করার পর আপনার উচিৎ, আল্লাহর অসন্তুষ্টি নিয়ে চিন্তা করা।তবে আপনি যে, জিম নিয়ে চিন্তা করছেন, এর জন্য শিরক হবে না।

(৩)
না, শিরক না।

https://www.ifatwa.info/4560 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...