উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) যোহরের আগের চার রাকাত সুন্নাহ যদি কোনো কারণে মিস হয়ে যায় তাহলে ফরজের পর দুই রাকাত সুন্নাত আদায় করার পর,ঐ চার রাকাত সুন্নাত কাজা স্বরুপ আদায় করা যাবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৫৫)
এটা যেহেতু সুন্নাতের কাজা,তাই ছওয়াব কিছুটা কম হবে।
তবে শরয়ী ওযরবশত এমন হলে আশা করা যায় যে আল্লাহ তায়ালা পুরোপুরি ছওয়াব দিবেন,ইনশাআল্লাহ।
,
এটা ফরজের পর পরেই আদায় করা যাবে,আবার ২ রাকাত সুন্নাতের পরেও আদায় করা যাবে।
তবে ২ রাকাত সুন্নাতের পর আদায় করাই উত্তম।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৫৫)
۔
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا لَمْ يُصَلِّ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ صَلاَّهُنَّ بَعْدَهَا
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি কোন দিন যোহরের প্রথম চার রাকাত সুন্নত পড়তে না পারতেন, তাহলে তা ফরজের পর আদায় করে নিতেন। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৪২৬]
,
کان رسول اﷲ ﷺ اذا فاتتہ الاربع قبل الظھر صلاھا بعد الرکعتین بعد الظھر‘‘ (ابن ماجہ،صـ۸۰)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ যদি যোহরের আগে ৪ রাকাত সুন্নাত আদায় না করতে পারতেন,তাহলে ফরজের পর ২ রাকাত সুন্নাত আদায় করার পর উক্ত ৪ রাকাত সুন্নাত আদায় করতেন।
,
عن عائشۃ ان النبیﷺ کان اذا لم یصل اربعا قبل الظہر صلاہن بعدہا (ترمذی) وفی منہاج السنن: ای بعد الظہر وبعد الرکعتین ، ففی روایۃ ابن ماجۃ کان رسول اللہﷺ اذا فاتتہ الاربع قبل الظہر صلاہن بعد الرکعتین بعد الظہر وہو قول ابی یوسف ونسب الی ابی حنیفۃ وفی فتاویٰ العتابی ی انہ المختار وفی مبسوط شیخ الاسلام انہ الاصح ورجحہ ابن الہمام۔
(منہاج السنن شرح جامع السنن ص۹۴ ۱ جلد۲ باب ماجاء فی الرکعتین بعد الظہر)
যদি যোহরের আগে ৪ রাকাত সুন্নাত আদায় না করা যায়,তাহলে ফরজের পর ২ রাকাত সুন্নাত আদায় করার পর উক্ত ৪ রাকাত সুন্নাত আদায় করাই গ্রহণযোগ্য রেওয়াআত।
,
(০২)
নামাজ এবং নামাজের বাহিরে পুরুষের সতর হলো নাভি থেকে নিয়ে নিচ পর্যন্ত।
হাদীসে এসেছে-
আমর বিন শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
فَإِنَّ مَا أَسْفَلَ مِنْ سُرَّتِهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ مِنْ عَوْرَتِهِ “
পুরুষের নাভির নিচ থেকে তার উভয় হাটু পর্যন্ত হল সতর। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৭৫৬}
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عَوْرَةُ الرَّجُلِ مِنْ سُرَّتِهِ إِلَى رُكْبَتِهِ»
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, পুরুষের সতর হল নাভি থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত। {মুসনাদুশ শামীন-১৪৩}
,
সুতরাং কোনো পুরুষের নামাজের মধ্যে শুধু পিঠের কিছু অংশ দেখা যায়,তাহলে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে এক রুকন সমপরিমাণ এমনটি হয়ে থাকলে পোশাকের সুন্নাত আদায় না হওয়ার কারনে মাকরুহ হবে।
,
(০৩) যদি কোনো পুরুষ কোনো পুরুষের পিঠের উন্মুক্ত স্থান দেখে,তাহলে এটা যেহেতু সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়,তাই কোনো গুনাহ হবেনা।
তবে যদি কোনো ফিতনার আশংকা থাকে,বা অবৈধ দৃষ্টি দেয়, তাহলে এটা গুনাহে কবীরা।