জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হায়েজ অবস্থায় মহিলারা কুরআন তিলাওয়াত, কা'বা শরীফে তওয়াফ,নামাজ,রোযা,সহবাস,মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেনা।
এছাড়া বাকি যেকোনো কাজগুলি করতে পারবে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দরুদ শরীফ পাঠ করা যাবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
(০২)
শরীয়াতসম্মত যে কোন ঈসালে সওয়াবের দ্বারা মাইয়্যেত উপকৃত হয়। তেলাওয়াতে কুরআন,ইস্তেগফার, নফল সাদকাহ, যে কোন নেক আমল দ্বারাই ঈসালে সওয়াব করা যায়।
তবে ৭০ হাজার বার কালেমা পড়ে মাইয়্যেতের রূহে বখশিশ করার যে আমলটির কথা আছে, এর কোন আলাদা ফজীলত হাদীস ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাই এটাকে সুন্নাহ মনে না করে যদি কেউ এ পদ্ধতিতে ঈসালে সওয়াব করতে চায় তাহলে তার অবকাশ রয়েছে।
উক্ত আমলটি অনেক বুযুর্গানে দ্বীনরা তাদের অভিজ্ঞতা ও কাশফের মাধ্যমে ফলপ্রসু হিসেবে বলে থাকেন। বাকি এটি কুরআন বা হাদীসে বর্ণিত কোন পদ্ধতি নয়।
তাই এটিকে বুযুর্গদের অভিজ্ঞতালব্দ একটি পদ্ধতি হিসেবে করা যায়। কিন্তু সুন্নত বা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত মনে করা যাবে না। যদি সুন্নাহ বা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত মনে করা হয়, তাহলে বিদআত হবে।
★ছওয়াবের লক্ষ্যে নিজের জন্য কালেমা পাঠ করা জায়েজ আছে।
মাইয়্যিতের জন্য কালেমা করে ঈসালে ছওয়াব করা জায়েজ আছে।
তবে সেগুলো কে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বিদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
আরো জানুনঃ
(০৩)
হ্যাঁ পড়া যাবে।