আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু।

আমার হায়েযের সময় নিকটবর্তী হয়েছে। গতকাল দুপুরে সাদাস্রাবের সাথে লালচে টাইপের কিছু একদম কম দেখেছি। তাই সেটাকে কোনকিছু না মনে করে নামায পড়েছি। এরপরেও সাদাস্রাব হয়েছে। এরপর রাতে ঘুমানোর আগে আবার হালকা একটু দেখেছি। ঠিক লালও না আবার হলুদও না দুইয়ের মাঝামাঝি। এখন আমার প্রশ্ন হলো:

১) উপরে উল্লেখিত অবস্তায় কি করণীয়? নামায পড়বো নাকি ৩দিন অপেক্ষা করতে হবে?

২) অনেক সময় দেখা যায় এরকম হওয়ার একদিনের মাঝেই হায়েয চলে আসে। তখন কি প্রথমদিকের হালকা ভাবটাও হায়েজ বলেই গন্য হবে?  তখন তো আমি নামাজ কোরআন পড়ি!

৩) হালকা কোন কিছু দেখার পরও যদি সাদাস্রাব হয় তাহলে কি তা হায়েজ বলে গন্য হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত অবস্থাকে হায়েজ হিসেবে ধর্যে হবে।
নামাজ আদায় করা যাবেনা।

(০২)
এটি হায়েজ।
এই সময় নামাজ পড়া যাবেনা,কুরআন তিলাওয়াত করা যাবেনা।
আগের কাজের জন্য আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। 
,
(০৩)
হ্যাঁ, হায়েজ হিসেবে গন্য হবে।
তবে ১০ দিন অতিক্রমের পরে এমনটি হলে হায়েজ বলে গন্য হবেনা।        
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম জাযাকাল্লাহু খইর। 
কিন্তু আমার তো এটা মাঝে মাঝে দেখছি আবার সাথে বেশিরভাগ সময় সাদাস্রাবও হচ্ছে তাহলেও কি হায়েজ বলেই গন্য হবে?
আর এরকম হালকা হলুদ রঙ আমি পবিত্রতার দিন গুলোতেও দেখি আবার হায়েজ শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে দেখি। এরকম দেখারও ৩/৪ দিন পর থেকে অনেক সময় হায়েজ শুরু হয় ঠিকমত। আবার অনেক সময় এরকম দেখার ১ সপ্তাহ পর থেকে লাল রক্ত যায় তার আগ অবধি হাল্কা হলুদ দেখি সাথে সাদা স্রাব। এক্ষেত্রে কী করণীয় জানাবেন প্লিজ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...