জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★সুন্নাতি বিবাহের ক্ষেত্রে প্রথমে শরয়ী নীতিমালা মেনে পাত্রি দেখবেঃ
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ امْرَأَةً فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا إِذَا كَانَ إِنَّمَا يَنْظُرُ إِلَيْهَا لِخِطْبَتِهِ وَإِنْ كَانَتْ لَا تَعْلَمُ.
‘‘যখন তোমাদের কেউ কোন রমণীকে বিবাহ প্রস্তাব দেয়, তখন যদি প্রস্তাবের জন্যই তাকে দেখে, তবে তা দূষণীয় নয়; যদিও ঐ রমণী তা জানতে না পারে।’’
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)
আরো জানুনঃ
ছেলের বাসায় ওলিমা করা সুন্নাত।
মেয়ের বাসায় এসবের আয়োজন করার নজির নেই।
,
তবে কাহারো চাপে নয়,বরং নিজ সন্তুষ্টি চিত্তে যদি তারা দাওয়াতের আয়োজন করে,তাহলে তা জায়েজ আছে।
★কোনো গান বাজনা বাজাবেনা,অনৈসলামীক কোনো কাজ করা যাবেনা।
নারী পুরুষ দের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করবে,সকলেই যেনো পর্দার বিধান মেনেই বিবাহ আসতে পারে,সেই জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে।
,
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার এই বিবাহ জায়েজ হবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
আপন যে আপনার অভিভাবকদের বুঝিয়ে সুন্নাতি বিবাহের উপর রাজি করিয়েছেন,এতে যে অনেক গুনাহের কাজ আর হবেনা,এর জন্য আপনি আল্লাহর নিকট উত্তম জাযা পাবেন,ইনশাআল্লাহ।
বাবা মাকে বুঝিয়ে গুনাহের কাজ না করানোর উপর চাপ সৃষ্টির একাজটি অবশ্যই প্রশংসা যোগ্য।