আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
484 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আমি আমার হবু  স্ত্রী কে ,বলেছিলাম তুমি যদি এই কাজ করো তাহলে বিয়ের পর তোমার সাথে 3 তালাক হয়ে যাবে।কয়দিন পর এখন তার সাথে আমার বিয়ে হবে।এখন আমার মনে সারাক্ষণ টেনসন থাকে যে ও এ কাজটি করে ফেলবে কিনা।তাই আমি চাচ্ছি এখন এটা থেকে মুক্তি পেতে।

1. তাই এখন তাকে বিয়ে করার পর ওইদিন ই আমি যদি তাকে  এক তালাক দেই,ফলে ওর সাথে আমার সব শেষ হয়ে যাবে ।যেহেতু সহবাস করা হয়নি তাই ইদ্দত ও পালন করা লাগবেনা ফলে তাকে নতুন ভাবে আবার বিবাহ করে নিলে কি বিয়ের আগে দেয়া শর্তযুক্ত তালাক বাতিল হয়ে যাবে কি?নাকি তালাক এর উদ্দেশ্য নিয়ে বিয়ে করলে বিয়ে হবেনা? যদিও আমাদের নিয়ত হচ্ছে শুধু শর্ত টা বাতিল করা

 বিস্তারিত বলবেন।।।

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিয়ের সাথে তালাককে শর্তযুক্ত করার দ্বারা তালাকটি শর্তযুক্ত হয়ে গেছে। তাই তাকে আপনার বিয়ে করার পরেই মহিলা আপনার জন্য তিন তালাকপ্রাপ্তা হয়ে যাবে।

তার সাথে ঘরসংসার করা আপনার জন্য কিছুতেই বৈধ হবে না।
,
এখন যদি আপনার তিন তালাকের পর উক্ত মহিলার ইদ্দত তথা তিন হায়েজ অতিক্রম শেষে স্বাভাবিকভাবে অন্য কোথাও বিয়ে হয়,তারপর সেখানে ঘর সংসার করতে থাকে। তারপর সেখান থেকে কোন কারণে তালাকপ্রাপ্তা হয়,তারপর সে ইদ্দত শেষ করে,তাহলেই কেবল প্রথম স্বামী তথা আপনার কাছে ফিরে আসার সুযোগ থাকবে।

,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠]

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

وقال الليث عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

,
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 

তবে এর থেকে রক্ষা পাবার একটি পদ্ধতি রয়েছেঃ
“আপনার কোন পরিচিত জন আপনাকে না জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে। প্রস্তাবকারী আপনার কাছে এসে বলবে যে, “আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম, সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও”। তারপর আপনি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দু’জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবেন। তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তখন আর পূর্বোক্ত কথার দরূন কোন তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আপনি কথাটাই বুঝেন নাই আমি শর্তযুক্ত তালাক দিয়েছি।।।।
by (574,110 points)
সেই মেয়ে যেহেতু উক্ত কাজ করে ফেলেছে,তাই আপনি সেই মেয়েকে বিবাহ করা মাত্র সে তিন তালাক প্রাপ্তা হয়ে যাবে। 
by
উক্ত মেয়ে এই কাজ করেনি,, না করা অবস্থাতেই এক তালাক দিয়ে তারপর আবার বিবাহ করলে কি বাতিল হবে শর্ত?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...