আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
466 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আমার স্ত্রী মেডিকেল কলেজে ডাক্তারী পড়ে।গ্রামের বাড়ী একই  এলাকায় হওয়ার সুবাদে একে অপরকে পছন্দ করতাম।দীর্ঘ 2 বছর পারিবারিক ভাবে বিয়ের জন্য চেষ্টা করে ব্যার্থ হই।মেয়ের বাবা বিভিন্ন অযুহাত দিয়ে কাল ক্ষেপন করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে পড়ালেখা শেষ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে।কিন্তু 1 বছর আগে আমরা নিজেদের চরিত্র রক্ষার জন্য আলেমের পরামর্শ নিয়ে বিয়ে করে নেই এবং পরবর্তীতে  সুবিধামত সময় পরিবারকে জানাবো বলে ডিসিশন নেই।বিয়ের পর আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সবকিছু  ভালই চলছিল এবং আমাদের সুযোগ সুবিধা বুঝে মাঝে মাঝে একসাথে থাকতাম। কিন্তু গত মার্চ মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে সে বাড়িতে অবস্থান করছে।প্রথমে অল্পদিন বন্ধ থাকবে চিন্তা করে আমরা ধৈর্য্য ধরি কিন্তু দীর্ঘ ছয় মাস হয়ে যাওয়ার কারনে আমরা দুইজনই মানষিক ভাবে খুব ভেংগে পরছি। কিন্তু সে বিয়ের কথা পরিবারকে বলতে পারছে না এইটা ভেবে যে যদি খারাপ কিছু ঘটে,যদি পরিবার থেকে পড়াশোনার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেয়।আমি টিউশনির মাধ্যমে যা উপার্যন করি হয়ত দুইজন থাকতে খাইতে পারব কিন্তু তার পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত 6/7 হাজার টাকা যোগার করা সম্ভব না।এই কারনে সে আসতেও পারতেছে না আবার ফ্যামিলিকে বিয়ের কথা বলতেও পারতেছে না।এই অবস্থায় আমাদের করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি যদি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হয়, কেবল তখনই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ছেলে যদি কু'ফু হিসেবে মেয়ের সমকক্ষ হয়,তাহলে বিয়ে হয়ে গেছে।
এখন মেয়ের জন্য উচিৎ,মাতাপিতার অবাধ্যতার জন্য তাদের নিকট ক্ষমা চাওয়া,এবং সাথে সাথে ইস্তেগফার করা।মেয়ে তার মাতাপিতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।কেননা মাতাপিতার সন্তুষ্টির মধ্যেই সন্তানের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।যেহেতু বিয়ে হয়েই গেছে,তাই স্বামীর সাথে সংসার করার জন্য মেয়ে তার মাতাপিতার পা আকড়িয়ে ধরবে যতক্ষণ না মাতাপিতা এর অনুমতি দিচ্ছে।শতচেষ্টা করার পরও যদি অনুমতি পাওয়া না যায়,তাহলে মৃত্যু অব্দি মাতাপিতাকে সন্তুষ্ট করার ইচ্ছা রেখে মেয়ে স্বামীর সাথে সংসার করতে পারবে।এবং অতীতের কৃত স্বেচ্ছাচারীতার জন্য আফসোস বোধ করে আপনজনদের মধ্যে সবাইকে এ পথে পা না বাড়ানোর প্রতি উৎসাহিত করবে।এ পথে পা বাড়ানোর জন্য নিজ অপদস্থতার কথা আপনজনদের নিকট প্রকাশ করবে।যাতে কেউ এ পিচ্ছিল পথে আর পা না বাড়ায়।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 2730


আপনারা যে,এ যাবৎ পৃথক রয়েছেন,এজন্য আপনাদের বিয়েতে কোনো সমস্যা হয়নি।কেননা পরস্পরের সম্মতিতে একজন অন্যজন থেকে অনেকদিন যাবৎ দূরে থাকলেও বিবাহের কোনো সমস্যা হবে না।হ্যা স্বামী নিরুদ্দেশ হলে তার কোনো খবর না থাকলে তখন স্ত্রী চার বছর অপেক্ষা করার পর কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...