ব্যাভিচারের শাস্তি সম্পর্কিত

Question

আসসালামু আলাইকুম,

বিবাহের পূর্বে ব্যাভিচারে লিপ্ত হলে তাকে ১০০ টি বেত্রাঘাত করার আদেশ দেয় ইসলামী শরিয়ত। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু বাংলাদেশে ইসলামী আইন এবং শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন নেই সে ক্ষেত্রে এই বিধান কিভাবে বাস্তবায়ন হবে ?

যদি কোন ব্যক্তি এরুপ কাজে লিপ্ত হয় এবং নিজের ভুল বুঝতে পেরে তাকওয়াহ অবলম্বনকারী হয়ে আল্লহার নিকট খাস দিলে খাটি তউবা ইস্তেগফার করে এবং ১০০ টি বেত্রাঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রে এই আইন চালু না থাকার কারনে কাউকে এই কথা বলতে পারে না এর ফলে এই বিধান যদি তার ওপর কায়েম না করা হয় তাহলে কি সে আখিরাতে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে ?

এরুপ অবস্থায় সে ব্যক্তি যদি নিজেই নিজের শরীরে ১০০ টি বেত্রাধাত করে তবে কি এই বিধান কার্যকর হবে ?

Comments

জাযাকাল্লাহ খয়রান উস্তাদ,

উপরোক্ত ঘটনাটি আমার এক পরিচিত ব্যক্তির । সে অনেকটা বিষণ্ণতায় ভুগছিল অপরাধ এর কারনে এবং আমার কাছে শেয়ার করে। এই ফতুয়ার দ্বারা ইন শা আল্লাহ তার বিষণ্ণতা দূর হবে । আল্লাহ রব্বুল আলামিন ইন শা আল্লাহ তার তউবা কবুল করে তাকে মাগফেরাত দান করবেন ।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4383 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হদ তথা শরয়ী দন্ডবিধি কার্যকরী করা,তাওবাহ কবুল হওয়ার কোনো শর্ত নয়।গোনাহকে লুকিয়ে রাখাই মুস্তাহাব।খালিছ নিয়তে তাওবাহ করা হদ কায়েমের জন্য গোনাহর স্বীকার করার চেয়ে উত্তম।

খালিছ নিয়তে তাওবাহ করলে আল্লাহ তা'আলা অতীতের সকল প্রকার গোনাহ সমূহকেও নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ وَمَن يَفْعَلْ ذَلِكَ يَلْقَ أَثَامًا*يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا*
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا *وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مَتَابًا
এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে।কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।(সূরা ফুরকান-৬৮--৭১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীতের গোনাহের জন্য আপনি তাওবাহ করে নিবেন।এদ্বারাই আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।আখেরাতের মুক্তি বেত্রাঘাতের উপর নির্ভরশীল নয়।