মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যাওয়া প্রসঙ্গে।

Question

আসসালামু আলাইকুম।

১. আমরা জানি, মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা জায়েজ নেই। কিন্তু যেটা করা জায়েজ নাই সেখানে উপস্থিত থাকাও তো জায়েজ নাই। আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী নাকি বাকী বোন, ভাই পালন করবে। এখন কথা হলো। তাদের বুঝানোর পরেও যদি তারা করে আর আমি যদি সেখানে যেতে চাই না। আমি যেহেতু বাসায় থাকবো কিন্তু আমি চাচ্ছি ওগুলা কিছু খাবোও না মিলাদে অংশগ্রহণ ও করবো না। এক্ষেত্রে কি আমার গুনাহ হবে?

২. মেয়েদের মার্শাল আর্ট শেখা কি জায়েজ?

৩. হারাম কাজ থেকে বাচতে মিথ্যা বলা যাবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
ইসলামে নির্ধারিত দুয়েকটি দিবস ব্যতীত আর কোনো দিবস নেই। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/166

যে কোনো মুসলমানকে চাই সে জীবিত হোক বা মৃত হোক নফল ইবাদতের সওয়াব পৌঁছানো যাবে।
এবং সওয়াব পৌছবে।
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ.এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা এভাবে তুলে ধরেন।
তিনি  বলেনঃ
ﻭﺍﻷﺻﻞ ﻓﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺠﻌﻞ ﺛﻮﺍﺏ ﻋﻤﻠﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﺻﻼﺓ ﺃﻭ ﺻﻮﻣﺎ ﺃﻭ ﺻﺪﻗﺔ ﺃﻭ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﻗﺮﺁﻥ ﺃﻭ ﺫﻛﺮﺍ ﺃﻭ ﻃﻮﺍﻓﺎ ﺃﻭ ﺣﺠﺎ ﺃﻭ ﻋﻤﺮﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻋﻨﺪ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻟﻠﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ
মূলকথা হল- মানুষ তার আমলের সওয়াব অন্যর জন্য দিতে পারবে, সে আমল চাই নামায/রোজা/সদকা/কোরআন তেলাওয়াত/যিকির/তাওয়াফ/হজ্ব/উমরা বা অন্য কিছুই হোকনা কেন। এটা আমাদের উলামাদের কাছে কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।(বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৩৫৬৫

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
মৃত মানুষের জন্য ঈসালে সওয়াবের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।তবে নির্দিষ্ট করে দিনতারিখ ঠিক করে নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতির অনুসরণ করাকে কখনো জায়েয বলা যাবে না।এটা বিদআত হবে।সুতরাং মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং সেই দিনে রুসুম রেওয়াজ হিসেবে কুরআন খতম ও শিরনি বিতরণ অবশ্যই বিদআত হবে।যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

সুতরাং মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা জায়েয হবে না।এবং তাতে শরীক হওয়াও জায়েয হবে না।

(২)
মেয়েরা ঘরের ভিতর মেয়ে টিচারের মাধ্যমে শিখতে পারবে।

(৩)
হারাম কাজ থেকে বাঁচতে মিথ্যা বলা ব্যতিত অন্য কোনো উপায় না থাকলে মিথ্যা বলার রুখসত থাকবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/644