আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
568 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

স্বালাতে ওযু নিয়ে সন্দেহ হলে কি স্বালাত ভেঙে ওযু আছে কি না তা চেক করতে হয়? নাকি স্বালাত সম্পন্ন করে চেক করতে হয়?

সেক্ষেত্রে যদি কাপড়ে এমনকিছু পাওয়া যায় যা জমে থাকা পানিও হতে পারে আবার প্রশ্রাবও হতে পারে তখন কি স্বালাত দোহরাতে হবে? এবং ওয়াক্ত না থাকলে কি পরবর্তীতে কাজা করে নিতে হবে?


জাযাকাল্লাহ খাইর।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো আপনি যদি নামাজের পূর্বে পেশাব করে পানি ব্যবহার করে থাকেন,অথবা অযু করার সময় আপনার (যেই জায়গার ভিজা পানি আপনার কাছে পেশাব বলে সন্দেহ হচ্ছে) সেই জায়গায় অযুর পানির ছিটা নিশ্চিত ভাবে লেগে থাকে,এবং নামাজ পড়া অবস্থায় পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হচ্ছে বলে আপনার প্রবল ধারনা না হয়,তাহলে এটা আপনার ওয়াসওয়াসা। 
আপনি পবিত্রই আছেন।
এই ভাবেই আপনি নামাজ শেষ করুন।
কোনো সমস্যা নেই। 

নামাজের মধ্যে চেক করারও কোনো দরকার নেই।     

ওয়াসওয়াসা রুগির জন্য রাসুল সাঃ হাদীস শরীফে সন্দেহ করতে নিষেধ করেছেন।    

হাদিস শরিফে এসেছেঃ
 فاذا بلغ ذلک فلیستعذ باللّٰہ و لینتہ‘‘ عن أبي ھریرۃ ص ، صحیح بخاری ، حدیث نمبر : ۳۲۷۶ ، باب صفۃ ابلیس و جنودہ ، کتاب بدء الخلق ، نیز دیکھئے : صحیح مسلم ، حدیث نمبر : ۱۳۴ ، کتاب الایمان ۔
যদি এমন পর্যায়ে পৌছে,তখন আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে,দ্রুত ত্যাগ করবে।

إن النبي ا نھی أن یبول الرجل في مستحمہ ، وقال : ان عامۃ الوسواس منہ ، عن عبد اللہ بن مغفل ص (الجامع الترمذی ، حدیث نمبر : ۲۱ ، باب ما جاء في کراھیۃ البول في المغتسل ، کتاب الطھارۃ )
রাসুল সাঃ যেখানে পানি জমা হয়,সেখানে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন।(যাতে করে ওয়াসওয়াসা পয়দা না হয়।)  
.
ওয়াসওয়াসা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে।
তাই শয়তানী এই ওয়াসওয়াসা অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।  
এই রোগের রুগিরা নামাজের আগে ও পরে 
   ۔لاحول ولاقوۃ الا باللہ العلی العظیم
বেশি বেশি পড়বেন। 
,
আর যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে পেশাবের রাস্তা দিয়ে আসলেই কোনো কিছু বের হয়েছে,তাহলে আপনি নামাজের মধ্যেই চেক করবেন।
সেটা যদি এক দেরহাম  সমপরিমান বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে উক্ত কাপড়ে আপনার নামাজ হবেনা।
অন্যথায় (এক দেরহাম থেকে কম হলে) নামাজ হয়ে যাবে। 

★আর যদি আপনি নামাজের আগে পেশাব করে পানি ব্যবহার না করে  থাকেন,(শুধুমাত্র টিস্যু পেপার ব্যবহার করে থাকেন),অযু করার সময় উক্ত জায়গায় অযুর পানির ছিটা না লাগা সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিত হোন,এবং নামাজের মধ্যে পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হচ্ছে বলে আপনার প্রবল ধারনা হয়,বা ধারনা না হয়,উভয় ছুরতেই আপনি নামাজের মধ্যেই এক হাত ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে উক্ত জায়গা চেক করবেন,যদি সত্যিই ভেজা থাকে,তাহলে এটা নিশ্চিত পেশাব।
তাই সেটা যদি এক দেরহাম  সমপরিমান বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে উক্ত কাপড়ে আপনার নামাজ হবেনা।

আপনাকে পবিত্র কাপড়ে আবার নামাজ পড়ে নিতে হবে।
ওয়াক্ত না থাকলে কাজা আদায় করে নিতে হবে।

আর যদি এক দেরহাম থেকে উক্ত পেশাব কম হয়,তাহলে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে পুনরায় নামাজ আদায় করতে হবেনা।
কাজাও করতে হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছে   
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}


فلما ذكره صاحب الأسرار عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء وروي عن عمر أيضا أنه قدره بظفره(عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء،  باب غسل الدم، رقم الحديث-227،3/140
হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ নির্ধারণ করেছেন  নখ পরিমাণ। {উমদাতুল কারী-৩/১৪০, আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ-১০১}


قال محمد فى الآثار: أخبرنا أبو حنيفة رح عن حماد عن ابراهيم قال: إذا كان الدم قدر الدرهم والبول وغيره فأعد صلاتك، وإن كان أقل من قدر الدرهم فأمض على صلاتك، ص-28) فإن قلت: هذا إنما يدل على عفو الأقل عن الدرهم دون قدر الدرهم ومذهب الحنفية أوقدر الدرهم عفو ايضا، احاديث الإكتفاء بالأحجار فى الإستنجاء تفيد كون قدر الدرهم عفو، لأن موضع الاستنجاء مقدر به، (اعلاء السنن-1/405


★এক দিরহাম নির্দিষ্ট করার সূরত হল, হাতের তালু সোজা করে রেখে তার উপর এক ফোটা পানি ফেলা, হাত নড়ানো বা কাত করা ছাড়া যতটুকু স্থান পরিব্যপ্ত হবে ততটুকুই হল এক দিরহামের আয়তন। এতটুকু পরিমাণ তরল  নাপাক হলে উক্ত কাপড়সহ নামায আদায় জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 171 views
0 votes
1 answer 125 views
...