আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আসসালামু আলাইকুম।
২০১৯ এ নিজের ভালো লাগায় বিয়ে করি। এরপর পারিবারিক ঝামেলা এড়িয়ে শ্বশুর বাড়ি থাকা শুরু করি। আমি খুব নরমাল একটা পরিবারের মেয়ে। খুব বেশি মাত্রায় ধর্মচর্চা হোক বা গোড়ামি আমার পরিবারে নেই। অথচ আমার শ্বশুর বাড়িতে শাশুড়িই একমাত্র কট্টর ভাবে ধর্ম মানেন। যা আমি বিয়ের আগে জানতাম না। আমার হাজব্যান্ডও আমাকে জানান নি যে তার পরিবার মেয়েদের পড়াশোনা পছন্দ করে না।

যাইহোক, বিয়ের পর উনি শর্ত দেন পড়াশোনা ছেড়ে মাদ্রাসায় ভর্তি হতে হবে। এক্ষেত্রে স্বামী আমাকে সাপোর্ট দেন আর আমি শ্বশুর বাড়ি থাকা শুরু করি। শুরু থেকে নানা রকম অসামঞ্জস্য আমার চোখে পড়ে। নিজেদের পরিবারের কোন্দলে আমার ভাসুর আমাকে মারতেও পর্যন্ত এসেছেন। তারপরও ভুল আমার মেনে নিয়েই মানিয়ে চলার চেষ্টা করি। মেডিকেলে সেকেন্ড টাইম দিই। তখন শাশুড়ি ছিলেন তীব্র বিরোধী। কেননা, মেয়েদের মেডিকেলে পড়া নাকি হারাম। তাও পড়াশোনা চালাই স্বামীর সাহায্যে। যাইহোক, এরপরও শাশুড়ি আমাদের মধ্যে নানাভাবে অশান্তি করতেন। বাবা ডিভোর্স পেপার সাইন করান আমাকে দিয়ে। তারপরও শুধু স্বামীর জন্য ফিরে যাই আর কনসিভ করি। এরপর থেকে বাচ্চা হবার পর অসুস্থতা নিয়ে কাটাই। আমি ডায়বেটিস রোগী এখন। স্বভাবতই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাটব। শাশুড়ি হাটতে যেতে দিতে চান না। তারপরও মানিয়ে চলি। পর্দা করায় ভাসুরের সামনে দিয়ে রান্নাঘরে প্রয়োজনে যেতেও পারিনা সেভাবে। যদি পর্দা টেনেও যাই, সুযোগ পেলেই আমাকে যা তা মন্তব্যও করেন। নিজের ঘরের কাজ একাই করি, বাচ্চা সামাল, ঘর সাফ, বুয়া না এলে বাসন মাজা, ঘর ঝাড়ও দেই, শাশুড়ি যেহেতু একটু বয়স্কা তাই উনি মাঝে মাঝে অসুস্থ বুঝলে নিজেই ভাত রান্না, টুকটাক যা পারি রান্না, শ্বশুরকে চা-নাস্তা দেওয়া এগুলা করার চেষ্টা করি। বাচ্চা সামলে প্রায় অসুস্থ থাকি তারপরও চেষ্টা করি সব দায়িত্ব করবার। আসলে নিজের সাধ্যের বাইরের কাজ করলেও শাশুড়ি শোনান কিছু ই করি না। সবসময় শোনা লাগে, পড়াশোনা হারাম, আমি এটা করি। আমার বাবা মা জাহান্নামে যাবে। স্বামীও আমাদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি সব মাকে ডেকে ডেকে জানায়। ওর ভাই, বাবার সামনে চিল্লিয়ে বলে। যেন সব দোষ সবসময়ই আমার। আমার সমস্যা একবারও ভেবে দেখেন না। আমি পারতপক্ষে কখনো ভাসুরের কথা ওনাকে জানাই না। কখনো বেশি মন খারাপ বুঝলে স্বামীর জোরে বলে ফেলি। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করেও কোনো পরিবর্তন হয়নি।

না পেরে আমি দাবি করেছিলাম, আমাকে আলাদা কর। এতদিন তোমার সামর্থ্য ছিল না আমি মানিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। পারছি না আর। দরকার হলে তোমার বাবারই আরেকটা ফ্ল্যাটে আলাদা করে দাও আমাকে। লাগলে বাবার ফ্ল্যাটেই ভাড়া থাকো। তোমার মা বাবার সব দায়িত্ব তোমার থাক। শুধু আমি শান্তিতে বাস করি, সংসার করি। সে রাজি না। উলটা তার দাবি আমার মা বাবার প্রতি আমার কোনোই দায়িত্ব নাই, থাকলেও তা বিয়ের পর সামান্য। বরং তার মা বাবার দায়িত্ব আমার। অথচ ওনারা আমাকে আপন করতেই পারেন নি। পরিবারের সব ঝামেলায় আমার পড়াশোনাকে দায়ী করা হয়। যেক্ষেত্রে আমার দোষ আসে না, সেক্ষেত্রেও। এমন অবস্থায় আমার পক্ষে থাকা সম্ভব না।

সবসময় নিজেকে ওই বাড়িতে পরগাছা মনে হয়। না পেরে আমি কাল চলে আসার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আমার বাচ্চাকে শাশুড়ি বারান্দায় আটকে রাখে। আমার স্বামী আমাকে বাইরের এক লোকের সামনেও যা তা বলে গালিগালাজ করে আর বের হয়ে যেতে বলে। আমার মা বাবার সাথে যা তা বিহেভ করে, যখন আমি ফাইনালিই চলে আসতে চাই, তখন আমার স্বামী আবার আবেগে হাত জড়িয়ে রিকুয়েস্ট করে থেকে যেতে। কিন্তু কেন জানিনা ৩ বছরের অপমান আর গতকালের অপমানে আর থাকতে মন টানেনি।

এখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে চাই। আমি কি ধর্মমতে আমার মেয়েকে পাব? নানাভাবে বুঝিয়েও স্বামী সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রাজি না আমাকে আলাদা রাখতে। আমার দাবি কি নিতান্তই অন্যায়? আমি কী করব? আমাকে সঠিক পরামর্শ দিবেন কি?

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

স্বামীর জন্য জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা,তার সাথে সদব্যবহার করা।

  

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك

শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩

 

সুতরাং স্ত্রীর উপর স্বামীর খেদমত আবশ্যক,শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা স্ত্রীর জন্য একটি অতিরিক্ত কাজ। এটা তার দায়িত্ব নয়,আবশ্যক নয়, কিন্তু বর্তমান সমাজে মনে করা হয়, এটা তার অপরিহার্য দায়িত্ব বরং এটিই যেন তার প্রধান দায়িত্ব। আমাদের সমাজের আবহমান কালের চলমান রীতি হলো, যৌথ পরিবারগুলোতে পুত্রবধূরা শ্বশুর-শাশুড়ির সেবাযত্ন করে থাকেন। এটাকে পারিবারিক দায়িত্ব হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে।

ছেলের জন্য বউ আনাই হয় শ্বশুর-শাশুড়ির সেবার জন্য। এ সবই পরিমিতিবোধের চরম লঙ্ঘন। মা-বাবার সেবা করা সন্তানের দায়িত্ব, পুত্রবধূর নয়। (আল-বাহরুর রায়েক ৪/১৯৩, কিফায়াতুল মুফতি ৫/২৩০)

 

যদি স্বামীর মা-বাবার খেদমতের প্রয়োজন হয়, তাহলে স্বামীর কর্তব্য হলো তাঁদের সেবা-যত্ন করা। তবে কোনো স্ত্রী যদি সন্তুষ্টচিত্তে স্বামীর মা-বাবার সেবা করেন, এটা তাঁর পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এর বিনিময়ে তিনি অনেক সওয়াব পাবেন। তবে এসব করতে আইনত তিনি বাধ্য নন। যদিও কাম্য এটাই যে স্বামীর মা-বাবাকে নিজের মা-বাবার মতো সম্মান ও সমীহের চোখে দেখবেন। তাঁদের মনেপ্রাণে ভালোবাসবেন এবং তাঁদের সেবা করতে পারাকে নিজের জন্য পরম সৌভাগ্য মনে করবেন। অনুরূপ শ্বশুর-শাশুড়িও পুত্রবধূকে নিজের মেয়ের মতো আদর ও খাতির করবেন। তার সুখ-সুবিধার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন।

 

ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

 

আপনি স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকতে পারেন,এটা আপনার অধিকার রয়েছে। তবে যেহেতু আপনার আলাদা থাকা খুবই প্রয়োজন হয়ে গিয়েছে,আর ইসলামও সেই অধিকার আপনাকে দিয়েছে,তাই আপনি আপনার পরিবারের মুরব্বিদেরকে তাদের মুরব্বিদের সাথে বৈঠক করাতে পারেন।

,

এলাকার মাতব্বরদের সাহায্য নিতে পারেন। কোনো ভাবেই কাজ না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন।

 

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/10894/?show=10894#q10894

 

স্ত্রীর ভরণ-পোষণ স্বামীর উপর সর্বাবস্থায় ফরযস্ত্রীর নিজের সম্পদ থাকুক বা না থাকুক।

 আল্লাহ তাআলা বলেন-

 

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ ۚ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللَّهُ ۚ

পুরুষেরা নারীদের অভিভাবকঐ (বিশেষত্বের) কারণেযার দ্বারা আল্লাহ তাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং ঐ সম্পদের কারণেযা তারা ব্যয় করেছে। সুতরাং সৎ নারীরা হল অনুগত, (স্বামীর) অবর্তমানে (নিজের সতিত্ব ও স্বামীর সম্পদ) রক্ষাকারীআল্লাহ রক্ষা করার কারণে ... -সূরা নিসা : ৩৪

 

এখানে  قَوَّامُونَ  -এর তরজমা করা হয়েছে ‘অভিভাবক’ মুফাসসিরীনের ব্যাখ্যামতে তা হচ্ছে,

 

শাসন ও ব্যবস্থায়ন এবং রক্ষা ও নিরাপত্তাবিধানের মাধ্যমে নারীর দেখভাল করা এবং আদেশ ও নিষেধের মাধ্যমে তার অবস্থার সংশোধন করাযেমন শাসকগণ প্রজাসাধারণের দেখভাল করে। তো পুরুষ হচ্ছে নারীর প্রধান ও উপরস্থ;নারীর শাসক ও সংশোধকযদি সে বেঁকে যায়।-আহকামুল কুরআনজাসসাস ২/১৮৮আহকামুল কুরআন ইবনুল আরাবী ২/৪১৬তাফসীরে কাশশাফ ১/৫০৫তাফসীরে ইবনে কাছীর ১/৪৯১

 

এই আয়াতে স্ত্রীর উপর স্বামীর অভিভাবকত্বের দুটো কারণ বলা হয়েছে : প্রথমত দৈহিক শক্তি-সামর্থ্য ও বিচার-বিচক্ষণতার মতো গুণাবলিদ্বিতীয়ত মোহরানা ও ভরণ-পোষণের জন্য ব্যয়বহন।

 

এই আয়াতে ‘পুরুষের ব্যয়কৃত সম্পদ’ মানে স্ত্রীর মোহরানাখোরপোষ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচকুরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী যা বহন করা অবশ্যকর্তব্য। এ আয়াত প্রমাণ করেস্ত্রীর নাফাকা ও খোরপোষ স্বামীর উপর ফরয। -তাফসীর ইবনে কাছীর ১/৪৯২আহকামুল কুরআনজাসসাস ২/১৮৮

 

 হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেনতিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যেতোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

 

 ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত১/৬০৪)

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. (খুব বেশি মাত্রায় ধর্মচর্চা হোক বা গোড়ামি আমার পরিবারে নেই। অথচ আমার শ্বশুর বাড়িতে শাশুড়িই একমাত্র কট্টর ভাবে ধর্ম মানেন। যা আমি বিয়ের আগে জানতাম না। আমার হাজব্যান্ডও আমাকে জানান নি যে তার পরিবার মেয়েদের পড়াশোনা পছন্দ করে না।)  এভাবে কথা বলাটা আপনার জন্য ঠিক হয়নি।
২. স্বামীর হুকুম মান্য করা স্ত্রীর উপর আবশ্যক। তাই আপানার জন্য উচিৎ ছিলো স্বামীর হুকুম মান্য করে (যদি তেমন কোনো সমস্যা না থাকে) মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়া বা আরো দ্বীনী বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা।

 

৩. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার স্বামীর সামর্থ্য থাকলে আপনার জন্য আলাদা বাসস্থান ব্যবস্থা করা আপনার উপর আবশ্যক। তবে এই ক্ষেত্রে আপনার উচিত হলো সামাজিক প্রথা মেনে চলার চেষ্টা করা। 

৪.  বোন, সাংসারিক জীবনে অনেক কষ্ট করেই সামনে আগাতে হয়। মন মালিন্য, টুকটাক ঝগড়া থাকবেই। তাই মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লে হবে না। আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করুন। তিনি সব কিছু সহজ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...