আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি ভালো আছেন। একটু বিস্তারিত পড়ে উত্তর দিবেন। আমি এখানে সম্পূর্ণ ঘটনার পরিস্থিত উল্লেখ করছি। আমাকে সেই অনুযায়ী পরামর্শ দিবেন।
বিয়ের আগে ই-মেইলে মোহর নিয়ে আলচনাঃ (একদম হুবুহু দেয়া হল)
১ঃ পাত্রী পাত্র-কে ই-মেইল করেছেঃ
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ!
আসলে যেহেতু আমার ফ্যামিলি, আত্মীয়স্বজন সহ সকলেরই পূর্ব পরিকল্পিত ইচ্ছে ছিল ১০লক্ষ= ১০'০০'০০০ টাকা মোহরানা করাবে এটা তাদের সামাজিকতার দাবি বলা চলে কিন্তু আমার কারণে তা এগোচ্ছে না। আর আমার দাবী মেনে নেয়াটাও তাদের সামাজিক ইমেজে স্পট ফেলবে।
যেহেতু এটা একটা সামাজিক ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে তাই আমার ব্যেক্তিগত মতামত হচ্ছে স্বর্নের হিসেবে কতটুুুকু টাকা আসে তা হিসেব করার প্রয়োজন নেই, কারো কাছে বলারও প্রয়োজন নেই। আপনি সেখানে টাকার সংখ্যা হিসেবে টোটাল ৬ লক্ষ লিখে দিবেন। এরপর স্বর্ণ + ১০,০০০ টাকা দিয়ে যতটা উসুল হয় হবে বাদ বাকিটা দিতে হবে না ইংশাআল্লাহ।
তাদের দিক বিবেচনায় আমি উপায়ন্তর এরকমটা ভেবেছি। আশা করছি আপনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন এবং আমাকে নিজ মতামত জানাবেন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
২ঃ পাত্র পাত্রী-কে ই-মেইল করেছেঃ
ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ, আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ। আপনার বড় বোন বলে ছিল, ছেলের সমার্থ অনুযায়ী এবং তাকে মোহরানার বিষয়ে কোন প্রেসার দেয়া হবে না। কিন্তু ফ্যামিলির অনন্য আত্মীয়স্বজনের অন্য একটা দাবি থাকতেই পারে। আর আমিও আপনার পরিবারের দাবিকে সম্মান জানাচ্ছি। তবে আমার নিজের একটা ইচ্ছা আছে আর তা হচ্ছে, আমি সমাজকে দেখানোর জন্য কিছুই করবো না। “তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর সন্তুষ্ট মনে দিয়ে দাও………”(সুরা নিসাঃআয়াত ৪)। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আর খুশি মনে মোহরানা দিয়ে দিব এবং একটা সিঙ্গেল পয়সাও বাকি রাখবো না। আমি যা দিব তা ১০০% উসুল দেখাব। কিন্তু আমাদের হিসাব অনুযায়ী মোট মোহরানা ৬ লক্ষ টাকা হবে না। আমরা মোহরানা হিসাবে ৬ ভরি গোল্ড আর নগদ ১০০০০(দশ হাজার) টাকা নগদ দিব। আর আমাদের ইচ্ছা ছিল হাদিয়া হিসাবে পাত্রিকে শপিং করে দেয়া হবে। কিন্তু এখন টাকার পরিমান বৃদ্ধির জন্য শপিং কে হাদিয়া পরিবর্তে মোহরানা হিসাবে দেয়া হবে। আর তাতে আমাদের হিসাব অনুযায়ী ৪০০০০০( ৪ লক্ষ)। আমরা প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এভারেজে ৬০০০০ টাকা ধরেছি। যদি এতেও আপনার ফ্যামিলির সামাজিক ইমেজে স্পট পরে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি অতিরিক্ত ২০০০০০ (দুই লক্ষ) টাকা তাওয়িল (ব্যাখ্যা) করে মোহরানা ধরতে পারেন। সেক্ষেত্রে মোহরানা হবে, ৪ লক্ষ + ২ লক্ষ (ব্যাখ্যা কৃত টাকা)= ৬ লক্ষ এবং পুরো টাকাই উসুল হিসাবে দেখানো হবে। যেহেতু আপনার কথা অনুযায়ী (স্বর্ণ + ১০'০০০ টাকা দিয়ে যতটা উসুুুল হয় হবে বাকিটা দিতে হবে না ইংশাআল্লাহ!) অতিরিক্ত ২০০০০০ (দুই লক্ষ) টাকা দেয়া লাগবে না তাই আমার মনে হয়না আপনাদের তাওয়িল করে মোহরানা ধরতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা। আর এই বিষয়ে আপনি আলেমদের সাথে কথা বলতে পারেন। তাওয়িল (ব্যাখ্যা) করা বা না করা এটা সম্পূর্ণ আপনাদের বিষয়। তবে আমি যা দিব তাই উসুল দেখাবো আর আমরা মোহরানার একটা পয়সাও ইনশা-আল্লাহ বাকি রাখবো না। আল্লাহ বিষয়টাকে সহজ করুন। আমীন। জাযাকাল্লাহ খায়ের।
বিঃদ্রঃ ইনশা-আল্লাহ আপনি আপনার মতামত জানাবেন।
৩ঃ পাত্রী পাত্র-কে ই-মেইল করেছেঃ
ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ! জ্বি আপনি যেভাবে বললেন সেভাবেই হোক।
৪ঃ পাত্র পাত্রী-কে ই-মেইল করেছেঃ
জি, আমি তো আপনাকে ২ টা অপশন দিয়েছিলাম।
১ঃ যা দিব তাই...মানে ৪ লক্ষ টাকা
২ঃ ৪ লক্ষ টাকা + ২ লক্ষ তাওয়িল (ব্যাখ্যা) করে মোট ৬ লক্ষ টাকা উসুল দেখাবো।
এখন যদি অপশন ১ হয় তাহলে তো কোন সমস্যা নেই আর যদি অপশন ২ হয় তাহলে আমাকে একটু আলেমদের সাথে কথা বলতে হবে।
এখন আপনি কোন অপশন নিতে চান?
৫ঃ পাত্রী পাত্র-কে ই-মেইল করেছেঃ
আমার তো কোনোটাতেই প্রবলেম নেই ঠিক আছে আপনি তাদের সাথে আলাপ করে দেখুন তারা কি বলে..
৬ঃ পাত্র পাত্রী-কে ই-মেইল করেছেঃ
জাযাকাল্লাহ খায়ের...... যেহেতু আপনার কোন সমস্যা নেই,তাহলে আমার অভিভাবক আপনার অভিভাবকের সাথে কথা বলবে ইনশা-আল্লাহ।
৭ঃ পাত্রী পাত্র-কে ই-মেইল করেছেঃ
আসসালামু আলাইকুম!
ইনশা-আল্লাহ তা অবশ্যই!
তবে যেহেতু আমার শ্রদ্ধাভাজন সকলে ২য় অপশন টাই ঠিক মনে করছে তাই আপনি আপনার তরফ থেকে আগে আলেমদের সাথে কথা বলে নিলে মনে হয় বিষয় টা সহজ হতো।
বারাকাল্লাহু ফি আমালিক!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
৮ঃ পাত্র পাত্রী-কে ই-মেইল করেছেঃ
ওয়ালাইকুম আসসালাম।
ওকে,আমি এই বিষয়ে আলেমদের সাথে কথা আর কি ভাবে মোহরনা ধরা যায় সেই বিষয়ে আমি আপনাকে বিস্তারিত জানাবো ইনশাআল্লাহ।
৯ঃ পাত্র পাত্রী-কে ই-মেইল করেছেঃ
আসসালামু আলাইকুম। দুঃখিতও একটু দেরিতে রিপ্লাই দেয়ার জন্য। আমি দেনমোহর নিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে এই প্রদ্ধতি টা আমার কাছে সহজ মনে হয়েছে। তাই পদ্ধতি তে দেনমহর ধরা যেতে পারে। আপনি আপনার মতামত জানাবেন। জাযাকাল্লাহ খায়ের।
বিঃদ্রঃ আমি প্রশ্ন টা একটু রুপক অর্থে করেছি।
প্রশ্নঃ পাত্র পক্ষ পাত্রী কে ১ লক্ষ নগদ মোহরানা দিবে আর কাবিন নামায় ১ টাকা বাকী রাখবে না। আর পাত্রী পক্ষের আভিবক সামাজিক ভাবে এত কম টাকায় তারা মেনে নিতে পারবে না। তাই তারা পাত্র পক্ষকে বলে কাবিন নামায় ৩ লক্ষ টাকা উল্লেখ করতে। পাত্র ১ লক্ষ নগদ দিবে আর পাত্রী ২ লক্ষ টা কা বিয়ের আগে দাবি ছেড়ে দিয়েছে। তাই পাত্র এখন বিয়েতে কাবিন নামায় ৩ লক্ষ টাকা উসুল দেখাতে পারবে। এর মধ্যে পাত্র ১ লক্ষ টাকা নগদ আর পাত্রী আগ্রিম ২ লক্ষ টাকার দাবি ছেড়ে দিয়েছি।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে পাত্রিদের সমাজে সম্মান রক্ষার জন্য পাত্র পক্ষ ৩ লক্ষ টাকা কাবিন নামায় উসুল দেখাতে পারবে কিনা?
উত্তরঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। মহর সম্পূর্ণ স্ত্রীর অধিকার।সে চাইলে সম্পূর্ণ মহরকে মাফ করে দিতে পারে,আবার চাইলে সে সম্পূর্ণ উসূলও করতে পারবে।সে চাইলে কিছু নগদ রাখতে পারবে, এবং কিছু বাকী।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
لَا خِلَافَ لِأَحَدٍ أَنَّ تَأْجِيلَ الْمَهْرِ إلَى غَايَةٍ مَعْلُومَةٍ نَحْوَ شَهْرٍ أَوْ سَنَةٍ صَحِيحٌ وَإِنْ كَانَ لَا إلَى غَايَةٍ مَعْلُومَةٍ فَقَدْ اخْتَلَفَ الْمَشَايِخُ فِيهِ قَالَ بَعْضُهُمْ يَصِحُّ وَهُوَ الصَّحِيحُ وَهَذَا؛ لِأَنَّ الْغَايَةَ مَعْلُومَةٌ فِي نَفْسِهَا وَهُوَ الطَّلَاقُ أَوْ الْمَوْتُ أَلَا يَرَى أَنَّ تَأْجِيلَ الْبَعْضِ صَحِيحٌ، وَإِنْ لَمْ يَنُصَّا عَلَى غَايَةٍ مَعْلُومَةٍ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
এ বিষয়ে কারো কোনো মতবেদ নেই যে,নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধযোগ্য সম্পূর্ণ মহরকে বাকী রাখা জায়েয। যেমনঃ- এক মাস বা এক বৎসর। কিন্তু যদি নির্দিষ্ট দিন-তারিখ উল্লেখ না থাকে, তাহলে এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে,কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম জায়েয বলে থাকেন। এটাই বিশুদ্ধ মত। কেননা বাস্তবে একটি দিন-তারিখ অবশ্যই নির্দিষ্ট রয়েছে। আর ইহা হল,তালাক বা মৃত্যু। কেননা দিন-তারিখ উল্লেখ ব্যতীত মহরের কিছু অংশ বাকী রাখা জায়েয[মুহিত] (তাই সম্পূর্ণ মহরকেও বাকী রাখা জায়েয) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩১৮)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সামাজিকতা রক্ষার স্বার্থে আংশিক মহরকে অগ্রিম মাফ করে দিয়ে আংশিক মহরকে রাখা যাবে।এতে কোনো বিধিনিষেধ নাই।
(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
১০ঃ পাত্রী পাত্র-কে ই-মেইল করেছেঃ
ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ!
জ্বী যেহেতু আমার বাকগ্রাউন্ড ওলামায়ে কেরামের খন্ড বললেই চলে অলমোস্ট অধিকাংশই আলেম এবং স্পেশালি আব্বু, কাকা,নানু,খালু,ফুপা, তাদেরকে সবাই প্রসিদ্ধ আলেমে দ্বীন হিসেবেই চেনেন আলহামদুলিল্লাহ। তাই এই বিষয়গুলো আমি ক্লিয়ার হয়েই আপনাকে জানিয়েছিলাম যাতে আপনার তরফ থেকে মনে কোনো কিন্তু না থাকে এবং আপনিও বিষয়টিতে ক্লিয়ার হতে পারেন সে জন্য।
আশা করছি আপনি এখন সে ধারনা নিজ প্রচেষ্টায় অর্জন করেছেন। অতএব আপনি চাইলে আপনার বিবেচিত নির্ধারিত মতামত এখন জানাতে পারেন।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান ফিদ্দুনীয়া ওয়াল আখিরাহ!
অত:পর আপনি অপশন ২য় এর সাথে সহমত হচ্ছেন নাকি হচ্ছেন না দুটোই জানাতে পারেন।
শুক্রিয়া!
১১ঃ পাত্র পাত্রী-কে ই-মেইল করেছেঃ
ইনশা-আল্লাহ,অতি-শীঘ্রই আমার পরিবার থেকে দুই একজন যাবে আপনাদের বাড়িতে। তখন হয়তো তারা এই বিষয়ে নিয়ে সরাসরি কথা বলবে আপনার পরিবারের সাথে। তখন উভয় পক্ষের সম্মতিতে যা সিদ্ধান্ত হবে তাতেই আলহামদুলিল্লাহ।
এই গুলাই ছিল ই-মেইলে মহর বিষয়ে আলোচনা…………… এর পরের ঘটনা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
এর পড়ে পাত্রের মামা পাত্রীদের বাসায় যায় কিন্তু মোহর বিষয়ে আর কোন কথা হয় না। পরবর্তীতে পাত্রের মামা ঠিক বিয়ের কিছুদিন আগে পাত্রীর বাবাকে ফোন করে বলে,” আমরা যা স্বর্ণ দিব তা টাকায় কনভার্ট করে কাবিন নামায় দেখাবে আর শপিং এর টাকা মোহরের মধ্যে দেখানো হবে না” তখন পাত্রীর বাবা এই কথায় সম্মতি জানিয়েছে।
বিয়ের দিনঃ
পাত্রের মামা পাত্রীর বাবাকে ৮ ভরি স্বর্ণ ৫ লক্ষ টাকায় কনভার্ট করে মেয়ের বাবাকে জানায়। তখন পাত্রীর বাবা সম্মতি জ্ঞাপন এবং ৫ লক্ষ টাকা মোহর নির্ধারণ করে বিয়ে হয়ে যায়।
বিয়ের পরের ঘটনাঃ
পাত্রীর কথা হচ্ছে……
বিয়ের পরে পাত্রী বলে পাত্র কে বলে সে নাকি ১০০০০ টাকা পাবে। এখন সে অনেক যুক্তি দেয়। সে বলে যে, বিয়ের আগে কথা হইছে (স্বর্ণ + ১০'০০০ টাকা)= ৪ লক্ষ দিবে আর ৬ লক্ষ টাকা উল্লেখ কবে কিন্তু ২ লক্ষ টাকা অগ্রিম মাফ তাই আমারা ৬ লক্ষ টাকা কাবিনমায় উসুল দেখাবো। কিন্তু পাত্রের পরিবার পাত্রীর বাবা সাথে কথা বলে নীট সম্পদ ৫ লক্ষ দিয়েছি এবং কাবিন নামায় তাই উল্লেখ করা হয়েছে। পাত্র পাত্রীর দাবীর থেকেও ১ লক্ষ টাকা বেশি স্বর্ণ দিয়েছে কিন্তু এটা পাত্রী মানতে নারাজ। তার একটাই কথা তাকে কেন ১০০০০ টাকা দেয়া হল না? সে তো বেশি স্বর্ণ চাইনি। তখন পাত্র বলছে যে পাত্রী এক টাকাও পাবে না…কারন মেয়ের বাবা বিয়ের মজলিসে ৫ লক্ষ টাকায় সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। তখন পাত্রী বলেছে পাত্ররা নাকি এখানে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড করেছে, তারা নাকি মুনাফিকি করেছে। কারন হিসাবে বলে যে বিয়ের আগে ১০০০০ টাকা নগদ দেয়ার কথা বলা হইছে সেটা দেই নি। তাই পাত্রের মধ্যে মুনাফিকি করেছে।
কিন্তু পাত্রর স্পষ্ট কথা হচ্ছে……পাত্রী যখন মোহর উভয় পক্ষের সম্মতিতে যা সিদ্ধান্ত হবে (এটা শেষ এ-মেইল এর কথা) মেনে নিয়েছে তখন আর পাত্রীর মোহরের আগের কাথার কোন মূল্য থাকে না। কারন সে তো মোহরের বিয়য় টা বর্তমানে তার পরিবারের সম্মতির উপর ছেড়ে দিয়েছে। পাত্রের পরিবারের থেকে পাত্রীর বাবা কে সকল কিছুই স্পট করা হয়েছে যা মোহর হিসাবে দিবে। আর পাত্র তো মেয়ের কে কোন অংশে কম দেয়নি বরং ১ লক্ষ টাকার সমপরিমান স্বর্ণ বেশি দিয়েছে। মেয়ের একটা কথা সে ১০০০০ নগদ প্রাপ্য এটা পাত্র অস্বীকার কারনে পাত্রের মধ্যে মুনাফিকি আছে। আর পাত্রের কথা যেহেতু তার বাবা মেনে নিয়েছে তাই সেহেতু সে ১০০০০ টাকার প্রাপ্য না। এত ঘটনার পর যখন পাত্র ১০০০০ টাকা ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করে দিবে বলেছে তখন সে বলে তার এই টাকা চাই না, সে যা বুঝার বুঝে গেছে (মানে পাত্রের মধ্যে মুনাফিকি আছে এটা বলতে চাচ্ছে)।
সবশেষ প্রশ্ন হচ্ছেঃ
১ঃ আসলেই কি এই পাত্রী ১০০০০ নগদ টাকা যোগ্য? (শেষ কথা হিসাবে পাত্রী যেখানে উভয় পরিবারে কথা সম্মতির ভিত্তিতে মোহরানা মেনে নিবে বলেছে আর যেখানে পাত্র খুশি হয়ে পাত্রী পক্ষের ডিমান্ড থেকেও ১ লক্ষ টাকার সমপরিমান গোল্ড বেশি দিয়েছে। আর তার পরিবার পাত্রের মোহরের বিষয়ে কোন প্রকার আপত্তি তুলে নাই।)
২ঃ আসলেই কি পাত্র ১০০০০ টাকা না দেয়ার জন্য কি তার মধ্যে কি কোন মুনাফেকি আছে? যেখানে পাত্র বিয়ের আগে এবং বিয়ের সময় মেয়ের বাবা স্পষ্ট বলে দিয়ে ছিল।
৩ঃ পাত্র ও পাত্রী উভয় কেই নসিহা করুন।