জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وما كان صلاتهم عند البيت الا مكاء و تصدية فذوقوا العذاب بما كنتم تكفرون
অর্থ: আর কা’বা শরীফের নিকট তাদের উপাসনা বলতে শিস আর তালি বাজানো ছাড়া অন্য কোন কিছুই ছিল না। অতএব, এবার তোমরা তোমাদের কৃত কুফরীর আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো।(সূরা আনফাল-৩৫)
মুখ দ্বারা শিষ দেওয়া সম্পর্কে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।
(১)হারাম,উপরোক্ত আয়াতের বিত্তিতে শিষ দেয়াকে কেউ কেউ হারাম সাব্যস্ত করে থাকেন।
(২)মাকরুহ।যারা মাকরুহ বলেন,তাদের দলীল হল,কুরআনের উপরোক্ত আয়াত কাফিরদের ইবাদত সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে।বিধায় এ আয়াত শিষ দেয়া হারাম হওয়ার উপর অকাট্য নয়।সে হিসেবে মাকরুহ বলা যায়।
(৩)জায়েয।যারা জায়েয বলেন,তাদের দলীল হল,কাফিরদের উদ্দেশ্য ছিলো,কুরআন শ্রবণে বাধা সৃষ্টি করা।সুতরাং শিষ হারাম নয় বরং কুরআন শ্রবণে বাধা সৃষ্টি করাই হারাম।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শিষ দেয়া মুসলমানদের জন্য কখনো কাম্য নয়,বরং শিষ দেয়া মূলত কাফিরদের বৈশিষ্ট্য। সে হিসেবে শিষ দেয়া মাকরুহ হওয়ার মতামত যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে।তাই বলা যায় যে,অযথা শিষ দেয়া মাকরুহ।
নাশীদ আবৃত্তি করতে গলার স্বরকে বিভিন্নভাবে আদায় করতে হয়,নাশীদ আবৃত্তি করতে যদি কোনো গান বা বিজাতির অনুসরণ করতে হয়,তাহলে এমন নাশিদ কখনো জায়েয হবে না।নাশিদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
1898