আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম

চাকুরীজীবী মায়েদের মাতৃত্বকালীন ৬ মাস ছুটি দেয়া হয়।  যদি কারও মাতৃত্বকালীন ছুটি এমন সময় শুরু হলো যে সময় উনার স্কুল বা কলেজের ক্লাস এমনিতেও বন্ধ।
১)এ সময় ছুটি না নিয়ে এক মাস পর থেকে ৬ মাসের ছুটি নেয়ার জন্যে মেডিকেল রেকর্ডে তারিখ পরিবর্তন করে লিখা যাবে  কিনা?

। মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতন সহ ছুটি। তাছাড়া এক মাস পর থেকে ছুটি নিলে বেতন সহ ৬ মাস ছুটি পাওয়া যাবে এবং বাচ্চারও একটু দেখভাল করা যাবে। এবং তার জন্যে মেডিকেল রেকর্ড এ তারিখ পরিবর্তন করতে হবে।
২)বাচ্চা ভুমিষ্ট হওয়ার পর থেকে ৬মাস ছুটি না নিয়ে বন্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ৬ মাস ছুটি নিলে প্রাপ্ত বেতন হালাল হবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
প্রশ্নে উল্লেখিত সময়ে ছুটি না নিয়ে এক মাস পর থেকে ৬ মাসের ছুটি নেয়ার জন্যে মেডিকেল রেকর্ডে তারিখ পরিবর্তন করে লেখা ধোকা দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত। 
বিধায় শরীয়তের দৃষ্টিতে উক্ত মহিলার জন্য এক মাস পর থেকে ৬ মাসের ছুটি নেয়ার জন্যে মেডিকেল রেকর্ডে তারিখ পরিবর্তন করে লিখা যাবেনা।
এটি জায়েজ হবেনা।
কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেওয়া হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


(০২)
প্রাপ্ত বেতন হালাল হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...