আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
471 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/আমার সিজারে বেবি হয়েছে সাড়ে ৩মাস। গত মাসে ২/৩ দিন স্রাবের রঙ সামান্য লাল দেখতে পাই।খুব সামান্য।সামান্য কাপড়েও লাগে।এরপর দুই এক দিন এমন দেখার পর আর দেখিনা।এরপর আবার দুই তিন পর সামান্য লাল স্রাব দেখি।একদিন।

এই মাসেও আমি সামান্য লাল স্রাব দেখছি।পিরিয়ড এর মতো ওতো প্রবাহিত রক্ত না।তবে স্রাব গুলো সামান্য রক্ত মিশ্রিত।

এটা কি পিরিয়ড ধরব?নামাজ পড়ব?

২/আমার আম্মুর কিছু কাজা নামাজ আছে।আম্মু চাচ্ছে প্রত্যেক ওয়াক্তে কাজা নামাজ আদায় করে দিতে।এখন ফজরের নামাজের পর কাজা নামাজ পড়তে পারবে?আসরের পর পারবে?কোন কোন সময় কাজা আর নফল নামাজ পড়তে পারবে?কোন সময়ে পারবে না?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ



(০১)


হাদীস শরীফে এসেছেঃ


عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ


হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহহাদীস নং-৬৪৯আলমুজামুল আওসাতহাদীস নং-৮৩১১সুনানে দারাকুতনীহাদীস নং-৮৫২সুনানে কুবরা লিল বায়হাকীহাদীস নং-১৬১৯]

 

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)


সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 


★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটাকে আপনি হায়েজ হিসেবে ধরবেন।

তবে এই মাসে এ ধরনের স্রাব আসার পর থেকে ১০ দিন অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও স্রাব আসলে ১০ দিন পর থেকে ইস্তেহাজা ধরবেন।  


(০২)

তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী।যথা- (১)সূর্যোদয়ের সময় (২)সূর্যাস্তের সময় (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়।

আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ।
উপরোক্ত তিন সময়। (৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের নামাযের আগে ও পরে (৫)আছরের নামাযের পরে। (শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়)

ফজর এবং আছরের নামাযের পর কাযা নামায পড়া যাবে। তবে নফল পড়া যাবে না।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৪৪)

★সুতরাং আপনার আম্মু ফজরের নামাজের পর,আসর নামাজের পর কাজা নামাজ পড়তে পারবে।

আর নফল নামাজ উপরোক্ত ৫ সময়ে পড়তে পারবেনা। 

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...