আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আমি একাদশ শ্রেণী তে পড়ি। এখন জেনারেল শিক্ষা বাদ দিয়ে দ্বীনি শিক্ষা নিতে চাই। জেনারেল লাইন বাদ দেওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে যেগুলো আমি আগে একটি প্রশ্নের উল্লেখ করেছিলাম https://ifatwa.info/30963/

কিন্তু এখানে একটি ব্যাপার হলো আগে আমার বাবা আমাকে দ্বীনি শিক্ষা নিতে সহযোগিতা করবে এবং কোনো ব্যাবসায় লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু এখন আমাকে জেনারেল লাইন বাদ দিতে বাধা দিচ্ছে এবং আমাকে দ্বীনি শিক্ষা দেবে বলে মনে হচ্ছে না। আমি জোর পূর্বক জেনারেল বাদ দিলে তিনি মনে কষ্ট পাচ্ছেন। এবং আমি সেলাইন বাদ দেওয়ার কারণ গুলো বুঝাতে চাইলে সেগুলো বুঝতে চাচ্ছে না। বা আমার কাছ থেকে কোনো কথাই শুনছে না। আমি অনেকদিন যাবত পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলাম এখন সেখান থেকে অনেকটা ফিরে এসেছি কিন্তু কলেজে অথবা কোচিংয়ে গেলে মেয়েদের দিকে আমার চোখ যায় হাজার চেষ্টার পরেও দৃষ্টি অবনত করতে পারি না অনেক সময় দৃষ্টি অবনত করলেও অন্তরে কলুষতা থাকার কারণে আগে যাদের কে দেখেছি তাদের সেই দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে যেটাকে অন্তরের যেন বলা হয়। যার ফলে আমি আবারো পর্নোগ্রাফির দিকে ঝুকে যাচ্ছি অথবা যেতে পারি বলে মনে হচ্ছে সেই জায়গা থেকে আমি মুক্তি পাওয়ার জন্য জেনারেল শিক্ষা বাদ দিতে চাচ্ছি। কিন্তু এটা বাড়িতে বলতে পারছিনা। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,  
ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে পড়াশোনা করার যেগুলো শর্ত রয়েছে,তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ 
চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;
,
সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 

★যেহেতু আপনার ক্ষেত্রে শর্তটি মানা অসম্ভব হিসেবে দাড়িয়েছে,গুনাহের দিকেই যেতে হচ্ছে,তাই আপনি আপনার অন্যান্য মুরব্বিদের মাধ্যমে আপনার বাবাকে বুঝাতে পারেন।
প্রয়োজনে বিষয়টি এলাকার ইমাম সাহেব,শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিকে বলে আপনার বাবাকে বুঝাতে পারেন।
কিছুতেই কাজ না হলে,অবস্থা যদি এমন হয় যে আপনাকে আপনার পিতা জেনারেল লাইনে বাদ দিতেই দিবেনা,তাহলে আপনি সেখানে ক্লাশে যাবেননা।
শুধু পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিবেন।    

তাহলেই ইনশাআল্লাহ উপরোক্ত সমস্যা কেটে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...