মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یَرۡفَعِ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡکُمۡ ۙ وَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡعِلۡمَ دَرَجٰتٍ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ ﴿۱۱﴾
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ্ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন; আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।
(সুরা মুজাদালাহ ১১)
قُلۡ ہَلۡ یَسۡتَوِی الَّذِیۡنَ یَعۡلَمُوۡنَ وَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ؕ اِنَّمَا یَتَذَکَّرُ اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ﴿۹﴾
বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান? বোধশক্তি সম্পন্ন লোকেরাই শুধু উপদেশ গ্ৰহণ করে।
(সুরা যুমার ০৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ قَالَ ذُكِرَ لِرَسُولِ اللهِ ﷺ رَجُلَانِ أَحَدُهُمَا عَابِدٌ وَالْاۤخَرُ عَالِمٌ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِي عَلى أَدْنَاكُمْ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَه وَأَهْلَ السَّموتِ وَالْأَرَضِ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا وَحَتَّى الْحُوتَ لَيُصَلُّونَ عَلى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْخَيْرَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
আবূ উমামাহ্ আল বাহিলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট দুই ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। এদের একজন ছিলেন ‘আবিদ (‘ইবাদাতকারী), আর দ্বিতীয়জন ছিলেন ‘আলিম (জ্ঞান অনুসন্ধানকারী)। তিনি বললেন, ‘আবিদের ওপর ‘আলিমের মর্যাদা হলো যেমন আমার মর্যাদা তোমাদের একজন সাধারণ ব্যক্তির ওপর। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তা‘আলা, তাঁর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) এবং আকাশমণ্ডলী ও জমিনের অধিবাসীরা, এমনকি পিঁপড়া তার গর্তে ও মাছ পর্যন্ত ‘ইলম শিক্ষাকারীর জন্য দু‘আ করে।
তিরমিযী ২৬৭৫, সহীহুত্ তারগীব ৮১, দারিমী ১/৯৭-৯৮,মিশকাতুল মাসাবিহ ২১৩।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উলামায়ে কেরামদের অনেক সম্মান করতে হবে।
এখানে সম্মান বলতে তাদের কথার উপরে কথা না বলা,এক সাথে চলার সময় তাদেরকে পিছনে ফেলে রাস্তায় না হাটা,মজলিসে উলামাদের উপস্থিতিতে উঁচু বাক্য ব্যবহার না করা,সেই মজলিসে হাসাহাসি না করা ইত্যাদি উদ্দেশ্য।
উলামা কেরামের প্রতি অবজ্ঞা করা এবং তাঁদের সঙ্গে উপহাস ও তাঁদের শানে বেআদবি করা যাবেনা।
কোরআন-সুন্নাহর ধারক-বাহকদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা ও অবজ্ঞা করতে করতে তাদের অন্তর থেকে মূল কোরআন-সুন্নাহ ও ইসলামের প্রতি প্রকৃত মূল্যবোধ দূর হয়ে যায়। এভাবেই তারা ধীরে ধীরে সিরাতে মুস্তাকিম ও আবার কেউ একেবারে ইসলাম থেকেই ছিটকে পড়ে।
★★ শায়েখ বা মুরব্বি হিসেবে যার অনুসরণ করা হবে, তাকে অবশ্যই সীরাতে মুস্তাকিমের পথিক হতে হবে। অর্থাৎ লোকটির মাঝে থাকতে হবে শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ। বাহ্যিক গোনাহ থেকে হতে হবে মুক্ত। কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে হতে হবে প্রাজ্ঞ। রাসূল সাঃ এর সুন্নাতের উপর হতে হবে অবিচল। এমন গুনের অধিকারী কোন ব্যক্তি যদি পাওয়া যায়, তাহলে তার কাছে গিয়ে তার কথা মত দ্বীনে শরীয়ত মানা যাবে।