আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
edited by
১ কেউ কি আমার রিজিক ভোগ করতে পারবে?

২ রিজিক বাড়ানোর জন্য সুরা ওকিয়াহ আছে। তাছাড়া ছোট কোনো দোয়া কি আছে?

৩ রিজিক বাড়ানোর জন্য কি কোনো বিশেষ নামাজ আছে?

৪ ব্যবসায় বিশেষ করে রিজিক বাড়ানোর উপায় কি সততা ছাড়া?
জাজাকাল্লাহ খাইরান।

৫ ব্যাপারটা কি এমন যে, যার রিজিক বেশি সে যে কাজই করুক না কেন, তার আয় বেশি হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/58

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যার তাকদীরে যা আছে, সে তাই পাবে।আপনার রিজিক কেউ নিতে পারবে না।

(২)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/459

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রিজিক বাড়ানোর জন্য সুরা ওকিয়াহ আছে। তাছাড়া বেশী বেশী ইস্তেগফার করার কথা বর্ণিত হয়েছে।

(৩)
তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে মাফ ও ক্ষমা চেয়ে চেয়ে কায়মনোবাক্যে দু'আ করবেন।

(৪)
নামাযের সময় ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ রেখে জামাতের সাথে নামায পড়বেন।সততাকে নিজের আদর্শ বানিয়ে নিবেন। ইনশা'আল্লাহ বারাকাহ হবে।

(৫)
রিযিক সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়। কাউকে আল্লাহ পরীক্ষার জন্যও রিযিক দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...