বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
পুরুষ ও
নারীর লজ্জাস্থান একত্র হলেই গোসল ওয়াজিব হয়।
হাদীস শরীফে
এসেছে-
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ
مُحَمَّدٍ الطَّنَافِسِيُّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ
الدِّمَشْقِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ،
أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ
مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَتْ
إِذَا الْتَقَى الْخِتَانَانِ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ فَعَلْتُهُ أَنَا وَرَسُولُ
اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَاغْتَسَلْنَا
নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু বিপরীত
লিঙ্গ পরস্পর মিলিত হলেই গোসল ওয়াজিব হয়। আমি ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছি এবং আমরা গোসল করেছি। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ১১০, আবূ দাঊদ
২১৪-১৫, আহমাদ ২০৫৯৩, ২০৬০১, দারিমী ৭৫৯।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ১৬৬১, ইরওয়াহ ৮০, মিশকাত ৪৪২।
https://www.ifatwa.info/10148 নং ফাতাওয়ায়
বলেছি যে,
وَالِاغْتِسَالُ فِي الْحَاصِلِ أَحَدَ عَشَرَ
نَوْعًا. خَمْسَةٌ مِنْهَا فَرِيضَةٌ. الِاغْتِسَالُ مِنْ الْتِقَاءِ
الْخِتَانَيْنِ، وَمِنْ إنْزَالِ الْمَاءِ، وَمِنْ الِاحْتِلَامِ، وَمِنْ
الْحَيْضِ، وَالنِّفَاسِ، وَأَرْبَعَةٌ مِنْهَا سُنَّةٌ. الِاغْتِسَالُ يَوْمَ
الْجُمُعَةِ، وَيَوْمَ عَرَفَةَ، وَعِنْدَ الْإِحْرَامِ، وَفِي الْعِيدَيْنِ.
وَوَاحِدٌ وَاجِبٌ، وَهُوَ غُسْلُ الْمَيِّتِ، وَآخَرُ مُسْتَحَبٌّ، وَهُوَ
الْكَافِرُ إذَا أَسْلَمَ فَإِنَّهُ يُسْتَحَبُّ لَهُ أَنْ يَغْتَسِلَ بِهِ
গোসল সর্বোমোট
পাঁচ প্রকার যথাঃ-(ক) পাঁচ প্রকারের গোসল ফরয যেমন-(১) যৌনমিলন তথা পুরুষ মহিলার লজ্জাস্থান একত্রিত হওয়ার পর
গোসল করা ফরয। (২) বীর্য বাহির হলে (যেকোনো কারণে) গোসল ফরয। (৩) স্বপ্নদোষের
কারণে গোসল ফরয। (৪) হায়েযের কারণে গোসল ফরয (৫) নেফাসের পর গোসল ফরয।
(খ) চার প্রকার গোসল সুন্নত। (১) জুমুআর দিনের
গোসল (২) আরাফার দিনের গোসল (৩) ইহরামের গোসল (৪) দুই ঈদের গোসল
(গ) ওয়াজিব গোসল। মাইয়্যিতকে গোসল প্রদান করা।
(ঘ) মুস্তাহাব গোসল। কোনো কাফির যখন ইসলাম
গ্রহণ করে,তখন গোসল করা মুস্তাহাব।
(মাবসুত-সারখাসী-১/৯০)
সুপ্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কাপড় ও জাইঙ্গার উপর দিয়ে শুধু স্ত্রীর লজ্জাস্থানের সাথে স্বামীর লজ্জাস্থান ঘর্ষন করার
দ্বারা গোসল ফরজ হবে না। তবে যদি স্ত্রীর লজ্জাস্থানের ভিতরে স্বামীর লজ্জাস্থান
ঢুকানো হয় অথবা বীর্যপাত হয় তাহলে আবার গোসল ফরজ হয়ে যাবে।