আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু


(১)ছেলে সন্তান যদি বাবার হারাম উপার্জন থেকে ভরণপোষণ নেয় এবং পরবর্তীতে যদি সমপরিমাণ টাকা সাদাকাহ করার নিয়ত থাকে সেক্ষেত্রে ছেলের দুআ কবুল হবে কী?


(২)ছেলে যেই পরিমাণ টাকা ভরণপোষণ নিয়েছে সেই পরিমাণ টাকা পরবর্তীতে সাদাকাহ করার নিয়ত থাকে কিন্তু ছেলের যদি সেই পরিমাণ সামর্থ্য কোনোদিন না হয় তাহলে হুকুম কী?ছেলেও কি গুনাহগার হবে?


(৩)গোসল করার সময় পাশে বালতি থাকলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর ধোয়া পানি বালতির পানিতে পড়বে। এক্ষেত্রে বালতি ও বালতির পানি অপবিত্র হয়ে যায় কী?


(৪) বীর্য ও হায়েজ শরীর থেকে বের হওয়ার পর কী এগুলোর হুকুম প্রস্রাব-পায়খানার মতো?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/2362 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বাবার ইনকাম হারাম হলে,সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়, এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, পরবর্তীতে পরিশোধের নিয়তে কিছু নিলে আপনি আপনার ইবাদত কবুল হতে কোনো বাধা নেই।

(২)
ছেলের যদি সেই পরিমাণ সামর্থ্য কোনোদিন না হয়,  এবং সে চেষ্টা করে থাকে, তাহলে বুঝা যাবে সে সদকাহ খাওয়ার উপযুক্ত। সুতরাং পরিশোধ না করার জন্য তার কোনো গোনাহ হবে না।

(৩)
ব্যবহৃত পানি কোথাও পড়লে সেই পানি নাপাক হবে না। হ্যা, ব্যবহৃত পানিতে অন্য কোনো জিনিষকে পবিত্র করার কোনো যোগ্যতা নেই।

(৪)
জ্বী, বীর্য ও হায়েজ শরীর থেকে বের হওয়ার পর, এগুলোর হুকুম প্রস্রাব-পায়খানার মতই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 243 views
...