ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/2362 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
বাবার ইনকাম হারাম হলে,সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।
মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়, এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, পরবর্তীতে পরিশোধের নিয়তে কিছু নিলে আপনি আপনার ইবাদত কবুল হতে কোনো বাধা নেই।
(২)
ছেলের যদি সেই পরিমাণ সামর্থ্য কোনোদিন না হয়, এবং সে চেষ্টা করে থাকে, তাহলে বুঝা যাবে সে সদকাহ খাওয়ার উপযুক্ত। সুতরাং পরিশোধ না করার জন্য তার কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)
ব্যবহৃত পানি কোথাও পড়লে সেই পানি নাপাক হবে না। হ্যা, ব্যবহৃত পানিতে অন্য কোনো জিনিষকে পবিত্র করার কোনো যোগ্যতা নেই।
(৪)
জ্বী, বীর্য ও হায়েজ শরীর থেকে বের হওয়ার পর, এগুলোর হুকুম প্রস্রাব-পায়খানার মতই।