আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
369 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)

(১)শয়তানের প্রস্রাব নাপাক কি না?                                          (২)আমার কানে যদি শয়তান প্রস্রাব করে দেয়(সকাল পর্যন্ত ঘুমানোর কারণে)এবং আমি যদি ঘুম থেকে উঠে কান পানি দিয়ে না ধুয়ে কানের ভিতরে হাতের আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেই এবং আঙ্গুল বের করার পর কোন জিনিসে আঙ্গুলটি লেগে গেলে জিনিসটি নাপাক হয়ে যাবে কী?যদি নাপাক হয় তাহলে পরিষ্কার করার উপায় কী?পানি দিয়ে ধুতে গেলে ঝামেলা হলে কী করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শয়তানের প্রস্রাব নাপাক।
,
(০২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ نَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ، قَالَ: «ذَاكَ رَجُلٌ بَالَ الشَّيطَانُ في أُذُنَيْهِ - أَوْ قَالَ: فِي أُذُنِهِ». متفقٌ عَلَيْهِ

 আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন একটি লোকের কথা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উল্লেখ করা হল, যে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে রাত্রি যাপন করে। তিনি বললেন, “এ এমন এক মানুষ, যার দু’কানে শয়তান প্রস্রাব করে দিয়েছে।” অথবা বললেন, “যার কানে প্রস্রাব করে দিয়েছে।” [বুখারি ১১৪৪, ৩২৭০, মুসলিম ৭৭৪, নাসায়ি ১৬০৮, ১৬০৯, ইবন মাজাহ ১৩৩০, আহমদ ৩৫৪৭, ৪০৪৯]
,
এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ

শায়ত্বন (শয়তান) তার কানে প্রস্রাব করে দেয়, এই কান বলতে বর্ণনাকারীর সন্দেহ এক কানেও হতে পারে, দুই কানেও হতে পারে। তবে বুখারীর এক বর্ণনায় শুধুমাত্র এক কানের কথা এসেছে। কানে পেশাব করার বিষয়টি বাস্তবেই হতে পারে। ইমাম কুরতুবী বলেন, অন্যভাবে অর্থাৎ রূপক অর্থেও হতে পারে। 

তবে বাস্তবে হওয়া তো অসম্ভব কিছু নয়, কেননা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, শায়ত্বন (শয়তান) খায়, পান করে, বায়ু নির্গত করে, বিবাহ করে সুতরাং তার পেশাব করার বাস্তবতায় কোন বাধা নেই। 

কেউ কেউ এর সম্ভাব্য তাবীল করেছেন যে, তাকে সলাত থেকে এমনভাবে গাফিল করে রাখা হয় যেন তার কানে পেশাব করে দেয়া হয়েছে ফলে সে আযানও শোনে না, মোরগের ডাকাও শোনে না।

ইমাম খাত্ত্বাবী বলেন, ‘আরাবেরা ফাসাদ শব্দকে ‘বাওল’ উপনামে ব্যবহার করে থাকে। কেউ কেউ বলেছেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শায়ত্বন (শয়তান) নিদ্রিত ব্যক্তির কান এমনভাবে বন্ধ করে রেখে দিয়েছে যে, সে আযান ইক্বামাত কিছুই শুনতে পায় না। 

আল্লামা ত্বীবী বলেন, চক্ষু বা আরো অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থাকা সত্ত্বেও কানের কথা খাস করে বলা হয়েছে এ করণে যে, ভারী নিদ্রা হলে কান একেবারেই অচল হয়ে যায়। কানে কিছু শুনলেই তো সে জাগবে এবং সলাতে দাঁড়াবে। যেমন আল্লাহর বাণীঃ ‘আমি গুহায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের কানের উপর নিদ্রা ঢেলে দিলাম।’ এখানে নিদ্রা বলতে অতীব ভারী নিদ্রা যাকে কোন শব্দই জাগাতে পারে না।
সকাল পর্যন্ত ঘুমানোর কারণে শয়তান যে কানে প্রস্রাব করে দেয়,এটির কারনে কান নাপাক হয়না,কারন এটি রুপক অর্থে ব্যবহারিত।
,
তাই কেহ যদি ঘুম থেকে উঠে কান পানি দিয়ে না ধুয়ে কানের ভিতরে হাতের আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়, এবং আঙ্গুল বের করার পর কোন জিনিসে আঙ্গুলটি লেগে গেলে জিনিসটি নাপাক হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...