ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/2898 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
" يَجُوزُ تَكْرَارُ النَّظَرِ إِنِ احْتَاجَ إِلَيْهِ لِيَتَبَيَّنَ هيئتها ، فَلاَ يَنْدَمُ بَعْدَ النِّكَاحِ ، إِذْ لاَ يَحْصُل الْغَرَضُ غَالِبًا بِأَوَّل نَظْرَةٍ ".
বারংবার দৃষ্টি দেয়া জায়েয।যাতেকরে পাত্রীর পূর্ণ অবয়ব পরিস্কার ভাবে ফুটে উঠে।এবং যাতেকরে বিয়ে পরবর্তী লজ্জিত হতে না হয়।কেননা একবারের দৃষ্টি অধিকাংশ সময়ে যথেষ্ট নাও হতে পারে।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২২/১৭)
পাত্র-পাত্রীর পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ ও অালাপ চারিতার কয়েকটি মূলনীতি-
(১)খালওয়াত হতে পারবে না।
(২)মুবাহ বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
(৩)ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।যদি কামভাব জাগ্রত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়,অথবা কোনো একজন উপভোগ করতে শুরু করে নেয়,তাহলে তখন সেটা হারাম হয়ে যাবে।
(৪)মহিলা নরম ভাষায় কথা বলতে পারবে না।
(৫)মহিলা পূর্ণ হেজাব তথা কবজা পর্যন্ত হাত,টাখনু পর্যন্ত পা,এবং মুখ ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢেকে রাখবে।
(৬)প্রয়োজন অতিরিক্ত কথাবার্তা বলা যাবে না।
যখন এই সব শর্ত পাওয়া যাবে, তখনই মূলত পাত্র-পাত্রী পরস্পর আলোচনা ও দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবে।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সামনাসামনি বসে দীর্ঘক্ষণও কথা বলতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না। যেহেতু সরাসরি দীর্ঘক্ষণ কথা বলার সুযোগ ইসলাম আপনাকে দিয়েছে, তাই আপনি ইমেইলের পরিবর্তে সরাসরিই
(২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে গিয়ে শরীক হবে, তার ব্যাপারে তোমরা ঈমানদ্বারির সাক্ষ্য দাও।
সুতরাং বাহ্যিক দিক কারো ইসলামি হলে, তাকে পাত্র হিসেবে আপনি গ্রহণ করে নিতে পারবেন।
(৩)
জ্বী, কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর জন্যই হওয়া চাই।
(৪)
যতদিন পর্যন্ত না আপনার মন কোনো একদিকে নির্দিষ্ট ভাবে সায় দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আপনি ইস্তেখারা করতে পারবেন।
(৫)
জ্বী, হায়ার অভাবই মনে হচ্ছে।
(৬)
যদি সে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়ে, তাহলে বুঝে নিতে হবে, সে ঈমানদার।