আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
407 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আমি বিয়ে সম্পর্কিত কিছু সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছি?

১/আমি কি ছেলের সাথে ইমেইলের মাধ্যমে কথা বলতে পারব?
২/ দ্বীনদার জীবনসঙ্গী হিসেবে কেমন ধরে নিবো?

৩/ কুরআন তো আল্লাহর জন্য,তাই তার তিলাওয়াত সহীহ করাও হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।আমি উনার কথাটা কিভাবে নিবো?

৫/আমি ইস্তেখারা নামাজ পড়েছি।আমার হ্যা না দুইটাই লাগছে। এইজন্য আমার সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সমস্যা হচ্ছে।কোনো স্বপ্ন দেখলেও,আমার স্বপ্নের কথা মনে থাকেনা।

৪/ ছেলেকে কি দ্বীনদার সঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া ঠিক হবে?কারণ আমার কাছে এগুলো গাইরত আর হায়ার অভাব মনে হচ্ছে।

৫/আমি ছেলের দ্বীনদারিতা কিভাবে পরীক্ষা করবো?কিভাবে বুঝবো সত্য বলছে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/2898 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
" يَجُوزُ تَكْرَارُ النَّظَرِ إِنِ احْتَاجَ إِلَيْهِ لِيَتَبَيَّنَ هيئتها ، فَلاَ يَنْدَمُ بَعْدَ النِّكَاحِ ، إِذْ لاَ يَحْصُل الْغَرَضُ غَالِبًا بِأَوَّل نَظْرَةٍ ".
বারংবার দৃষ্টি দেয়া জায়েয।যাতেকরে পাত্রীর পূর্ণ অবয়ব পরিস্কার ভাবে ফুটে উঠে।এবং যাতেকরে বিয়ে পরবর্তী লজ্জিত হতে না হয়।কেননা একবারের দৃষ্টি অধিকাংশ সময়ে যথেষ্ট নাও হতে পারে।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২২/১৭)

পাত্র-পাত্রীর পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ ও অালাপ চারিতার কয়েকটি মূলনীতি-
(১)খালওয়াত হতে পারবে না।
(২)মুবাহ বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
(৩)ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।যদি কামভাব জাগ্রত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়,অথবা কোনো একজন উপভোগ করতে শুরু করে নেয়,তাহলে তখন সেটা হারাম হয়ে যাবে।
(৪)মহিলা নরম ভাষায় কথা বলতে পারবে না।
(৫)মহিলা পূর্ণ হেজাব তথা কবজা পর্যন্ত হাত,টাখনু পর্যন্ত পা,এবং মুখ ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢেকে রাখবে।
(৬)প্রয়োজন অতিরিক্ত কথাবার্তা বলা যাবে না।
যখন এই সব শর্ত পাওয়া যাবে, তখনই মূলত পাত্র-পাত্রী পরস্পর আলোচনা ও দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সামনাসামনি বসে দীর্ঘক্ষণও কথা বলতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না। যেহেতু সরাসরি দীর্ঘক্ষণ কথা বলার সুযোগ ইসলাম আপনাকে দিয়েছে, তাই আপনি ইমেইলের পরিবর্তে সরাসরিই

(২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে গিয়ে শরীক হবে, তার ব্যাপারে তোমরা ঈমানদ্বারির সাক্ষ্য দাও।

সুতরাং বাহ্যিক দিক কারো ইসলামি হলে, তাকে পাত্র হিসেবে আপনি গ্রহণ করে নিতে পারবেন।

(৩)
জ্বী, কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহর জন্যই হওয়া চাই।

(৪)
যতদিন পর্যন্ত না আপনার মন কোনো একদিকে নির্দিষ্ট ভাবে সায় দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আপনি ইস্তেখারা করতে পারবেন।

(৫)
জ্বী, হায়ার অভাবই মনে হচ্ছে।

(৬)
যদি সে পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়ে, তাহলে বুঝে নিতে হবে, সে ঈমানদার।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...