বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তে ভুল ফতোয়া প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
অজ্ঞতাবশত ফতোয়ারও কোনো সুযোগ নেই।
,
কারন এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।
,
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে অনেক তাহকিক অনুসন্ধান চালিয়ে বিজ্ঞ মুফতী সাহেবের কাছ থেকে ফতোয়া নিতে হবে।
এমনিতেই সাধারণ কাহারো কাছ থেকে ফতোয়া নেওয়া যাবেনা।
অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর কোনো বিজ্ঞ মুফতী সাহেব থেকে কোনো সাধারণ মানুষ যদি কোনো বিষয়ে ফতোয়া নেয়,আর সেই মুফতী সাহেব যদি ভুল ফতোয়া প্রদান করে,এক্ষেত্রে সেই সাধারণ মানুষ যদি এই মাসয়ালায় অন্য মত সম্পর্কে না জেনে থাকে,বরং অজ্ঞতাবশত সেই ভুল ফতোয়ার উপরেই আমল করে,সেই ছুরতে উক্ত সাধারণ মানুষ এর গুনাহ হবেনা।
সমস্ত গুনাহ সেই মুফতি সাহেবের হবে।
তবে অন্য মত জানা মাত্র তাকে ফিরিয়ে আসতে হবে।
নতুবা তার গুনাহ হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত উদাহরণ এর ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলোঃ
অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর কোনো বিজ্ঞ মুফতী সাহেব থেকে যদি সেই ব্যাক্তি যদি বিবাহ বিষয়ে ফতোয়া নেয়,আর সেই মুফতী সাহেব যদি ভুল ফতোয়া প্রদান করে,তার প্রেক্ষিতে যদি তারা সংসার চালিয়ে যায়,আর তাদের বিবাহ বৈধ না কি অবৈধ,এই বিষয়ে তার আর অন্য কোনো মত সম্পর্কে জানা না থাকে,এক্ষেত্রে সেই সাধারণ মানুষ এর গুনাহ হবেনা।
গুনাহ মুফতী সাহেবের হবে।
,
তবে তাদের বিবাহ যে অবৈধ,এটি জানা মাত্র তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে।
(আল্লাহর কাছে তারা কোনোভাবেই স্বামী স্ত্রী হিসেবে গন্য হবেননা।)
,
এতো দিনের তাদের ঘর সংসার যেনা হলেও,সেটি আল্লাহ তায়ালা তাদের মাফ করবেন।
কারন এটি তাদের অজ্ঞতাবশত কাজ ছিলো।
★শরীয়তের বিধান মতে ওযর বিল জাহালত গ্রহণযোগ্য।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের রব,আমাদের কে পাকরাও করবেন না,যদি আমি ভূলে যাই কিংবা অজ্ঞতা বশত কিছু করে ফেলি।
সূরা বাকারা-২৮৬
আরো জানুনঃ