আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
313 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব।
১.স্বামী স্ত্রীর একটু ঝগড়া হয়েছে । তো তার ২ ঘন্টা পর স্ত্রী এসব নিয়ে ভাবছিল। হঠাৎ স্ত্রী নিজেই উচ্চারণ করল, "সে আমাকে ছেডে দিয়ে চলে গেছে"। স্ত্রী যদি       তালাকের অধীকার প্রাপ্ত হয় তাহলে কি এই কথা উচ্চারণ এর মাধ্যমে  তালাক হতে পারে?

২. আমাদের বিয়ে পডানোর পর, নিকাহনামাতে সাক্ষর নেয়া হয়েছিল। যখন সাক্ষর করেছি তার আগে নিকাহনামাতে, কাবিনের টাকার ঘরে এমাউন্ট লেখা হয়েছিল, আর সসম্ভবত আমাদের দুজনের নাম লিখা ছিল। আর প্রত্যেকটা ঘর ফাকা ছিল, ওইভাবেই সাক্ষর করেছি। তো পরে কাজি, স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে নাকি ওই ঘরে হ্যা লিখে দিয়েছে। কিন্তু আমার হাজবেন্ড এ সবের কিছুই জানে না । এক্ষেত্রে আমি কি তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হব?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/12958/?show=12958#q12958 নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে, ইসলামের মূল থিউরী হল স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হোক। তারা মিলেমিশে থাকুক। সমস্যা হলে উভয়ে বসে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাতে সমস্যার সমাধান না হলে পারিবারিক মুরুব্বীদের পরামর্শের আলোকে সমাধান করা উচিত। তারপরও যদি সমাধান না আসে। তাহলে নিরূপায় অবস্থায় ইসলাম তালাক দেবার অধিকার দিয়েছে স্বামীকে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন,

قال اللّٰہ تعالیٰ: {وَاللّٰاتِیْ تَخَافُوْنَ نُشُوْزَہُنَّ فَعِظُوْہُنَّ وَاہْجُرُوْہُنَّ فِیْ الْمَضَاجِعِ} 

অর্থ: আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর। (সূরা নিসা-৩৪)

হাদীস শরীফে এসেছে,  

عن ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: أبغض الحلال إلی اللّٰہ عزوجل الطلاق۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۳۰۳، المستدرک للحاکم ۲؍۲۱۸ رقم: ۲۸۰۹، السنن الکبریٰ ۷؍۳۱۶)

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম হালাল হলো তালাক প্রদান করা।

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে। এ অধিকার বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর দিলে তা অধিকার বলে সাব্যস্ত হবে। বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে এ অধিকার দিলে সেটি তালাকে তাফবিজের অধিকার বলে সাব্যস্ত হবেনা।

যদি নিকাহনামা ইজাব কবুল হওয়ার পর লেখা হয়,এবং স্বামী জেনে শুনে ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দিয়ে থাকে,তাহলে স্ত্রী তালাকে তাভবিজের ক্ষমতা প্রাপ্ত হবে নতুবা নয়।

তালাকে তাভবিজের ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ার পর স্ত্রী নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারবে। যদি সে স্বামীকে তালাক দেয়,তাহলে সেটি তালাক হসেবে সাব্যস্ত হবেনা।

এই ছুরতে স্ত্রী যদি বলে/লিখে আমি স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে  (লিখিত বা মৌখিকভাবে) নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলাম,তাহালে  সেটি পতিত হয়ে যাবে। এখানে স্ত্রী যে কয় তালাক নিন নফসের দিবে,সেই কয় তালাকই পতিত হবে। 

আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/4368/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক পতিত হয়নি। এখনো আগের মতোই স্বামী স্ত্রী হিসেবেই আছে। কারণ, এখানে স্ত্রী নিজের নফসের উপর তালাক দেয়নি,বরং স্বামী তাকে ছেড়ে গেছে বলে ধারণা করার দ্বারা তালাক হবে না। এছাড়া স্বামী এক্ষেত্রে ১৮ নং ধারা সম্পর্কে অবগত নয়। সুতরাং এটি স্পষ্ট যে তিনি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেননি। স্ত্রী কোনো ভাবেই স্বামীকে তালাক দিতে পারেনা। তালাকের ক্ষমতা পেলে নিজেকে নিজে  তালাক দিতে পারে। তালাকপ্রাপ্তা হয় স্ত্রীরা , স্বামীরা তালাক প্রাপ্ত হননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
স্বামীর সাথে যোগাযোগ নেই তিনবছর! এমতাবস্থায় স্ত্রী সংগত কারনে মোখিকভাবে নিজেকে নিজে স্বামীর থেকে তালাকপ্রাপ্তা গন্য করতে পারবে? এটা কী শরীয়তসম্মত হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 107 views
...