বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম। এটি মাখলুক নয়। গায়রে মাখলুক।
কুরআন আল্লাহর কালাম বা বাণী। তা আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং এটি
তার যাত বা স্বত্বার এক অবিচ্ছেদ্য সিফত (বৈশিষ্ট্য)। সিফত বা গুণ-বৈশিষ্ট্য কখনো
যাত বা স্বত্বা থেকে আলাদা হয় না।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, “ নিশ্চয় এটা
সম্মানিত কুরআন, যা আছে
সুরক্ষিত কিতাবে”। ( সুরা ওয়াকিয়াঃ৭৭-৭৮ )।
আল্লাহ আরও বলেন, ” আপনার প্রতি
আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব
প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ
করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল
পাবেন না। ( সুরা কাহাফ-২৭)
তিনি আরও বলেন: “আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়।” ( সুরা
তাওবাঃ ০৬) ।
وإن القرآن کلام اللہ،
منہ بدا بلا کیفیة قولاً
وأنزلہ علی رسولہ وحیاً وصدقہ الموٴمنون علی ذلک حقاً وأیقنوا أنہ کلام اللہ تعالی
بالحقیقة لیس بمخلوق ککلام البریة (العقیدة الطحاویة، ص: ۱۲)،
সারমর্মঃ কুরআন
আল্লাহ তায়ালার কালাম
والقرآن کلام اللہ
تعالی غیر مخلوق (العقائد النسفیة مع شرحھا للتفتازاني، ص: ۴۶)
সারমর্মঃ কুরআন আল্লাহ
তায়ালার কালাম। মাখলুক নয়।
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. বলেন,
والقرآن كلام الله، ليس
بمخلوق، فمن زعم أن القرآن مخلوق فهو جهمي كافر ومن زعم أن القرآن كلام الله عز
وجل ووقف ولم يقل مخلوق ولا غير مخلوق: فهو أخبث من الأول،
“কুরআন আল্লাহ কালাম (বাণী); মাখলুক বা সৃষ্ট নয়। যে ব্যক্তি মনে করে যে, কুরআন আল্লাহর মাখলুক (সৃষ্ট) সে
জাহমী-কাফির। আর যে ব্যক্তি কুরআন আল্লাহর কালাম বলে চুপ থাকে- মাখলুক না কি
মাখলুক নয় সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করে না-সে ১ম ব্যক্তির থেকেও নিকৃষ্ট।
ইমাম ইবনে
আব্দুল ইয আল হানাফি (তাহাবীয়া গ্রন্থের ভাষ্যকার), বলেন:
فأهل السنة كلهم من أهل
المذاهب الأربعة وغيرهم من السلف والخلف متفقون على أن كلام الله غير مخلوق
“চার মাযহাব সহ পূর্বসূরি ও পরবর্তী মনিষীদের
সকলেই একমত যে, আল্লাহর
কালাম মাখলুক নয়।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম। এটি মাখলুক নয়।
গায়রে মাখলুক।
২. এটা শিরক হবে না। তবে মিথ্যা বলার কারণে
মিথ্যা বলার গুনাহ হবে। আপনি আল্লাহ তায়ালার ভয় ও হারাম রিলেশনের গুনাহের কথা বলে
তার সাথে কথা বলা বাদ দিবেন। আর যদি তাকে পছন্দ হয়েই থাকে তাহলে তাকে বিয়ে করে
ফেলুন।
৩. শয়তান
সম্পর্কে আমাদের আকীদা হবে এমন যে, সে
মানুষকে গুনাহ করার প্রতি ওয়াসওয়াসা দেয়। আর শয়তান আমাদের মনের খবর জানে কি না এ
সম্পর্কে কোন বর্ণনা আমি পাইনি।
৪. এটা গুনাহ হবে, শিরক নয়।